প্রধানমন্ত্রীকে রংপুর চেম্বারের অভিনন্দন

348

রংপুর, ৩ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : ব্যাংক ঋণের সুদের হার ডাবল ডিজিট থেকে সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রংপুরের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের পক্ষ থেকে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (আরসিসিআই)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংক ঋণের সুদের হার ডাবল ডিজিট থেকে সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত, শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও অধিকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ফলে বাংলাদেশের উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। আর এ সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রংপুরের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের পক্ষ থেকে এ অভিনন্দন জানানো হয়।
আরসিসিআই সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১ জুলাই ২০১৮ ইং থেকে বিনিয়োগে মুনাফার হার সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর করায় ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)-কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এর ফলে নতুন বিনিয়োগে উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কিংবা বড় উদ্যোক্তারা উচ্চ সুদের বিরূপ প্রভাবে রুগ্ন হবার আশংকামুক্ত হয়ে নতুন করে উজ্জীবিত হবেন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর ও দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান।
টিটু আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনায় দেশের ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও অর্থনৈতিক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন গতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র-মাঝারি ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া তিনি গ্রামীণ উদ্যোক্তা বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে সরল সুদে ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশে ঋণ প্রদানের আহ্বান জানান।
তিনি ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট করায় আগামী অর্থবছরে ৭.৮ শতাংশ জিডিপি অর্জন ও কাংখিত বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে তিনি বিদেশে টাকা পাচার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি যারা নামে-বেনামে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ব্যাংক ঋণ নিয়ে ফেরত দেননি, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে খেলাপী ঋণ আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।