বাজিস-১ : পিরোজপুরে শত শত অস্বচ্ছল পরিবার আইনগত সহায়তা পাচ্ছে

290

বাজিস-১
পিরোজপুর- আইন-সহায়তা
পিরোজপুরে শত শত অস্বচ্ছল পরিবার আইনগত সহায়তা পাচ্ছে
পিরোজপুর, ৩ জুলাই, ২০১৮ বাসস : জেলায় আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের মাধ্যমে শত শত অস্বচ্ছল বিচারপ্রার্থী আইনী সহায়তা পাচ্ছেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খান মো. আলাউদ্দিন জানান, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০০ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ প্রণয়ণ করে। এতে দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারগুলো আইনগত সহায়তা নেয়ার সুযোগ পায়। পরবর্তীতে বিএনপি এই জনকল্যাণমুখী আইনটি অকার্যকর করে রাখে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এ আইনের ৬টি সংশোধনী এনে আইনটিকে একটি মানবতার আইনে পরিণত করেন।
তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে এই আইনের আওতায় পিরোজপুরে সহায়তা পেয়েছে ২শ’ ৮৬ জন বিচার প্রার্থী। একই সময় আইনগত সহায়তা আইনে ১শ’ ৮০টি মামলার নিম্পত্তি হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত পিরোজপুর জেলা জজ আদালত ভবনে অবস্থিত জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জেলা কার্যালয়ে প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করে ২শ’ ৫টি মামলায় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় ৬৭টি মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়ায় বিচার প্রার্থীরা সীমাহীন ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, এ আইনের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা পর্যায়ে ও জেলা পর্যায়ে আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটি রয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এই কমিটির চেয়ারম্যান। পিরোজপুরের বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে গঠিত জেলা কমিটির গতিশীল কার্যক্রমে এ আইনের সুফল পাচ্ছেন অস্বচ্ছল, সহায় সম্বলহীন নারী-পুরুষ ও শিশু।
এই আইনের সহায়তা পেয়ে উপকৃত হয়েছে গৃহবধু তহুরা বেগম। তিনি ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী গ্রামের আলতাফ হোসেন এর কন্যা। তহুরা বেগম জানান, পারিবারিক মামলা চালাতে যখন তিনি হিমশীম খাচ্ছিলেন এবং বিচার প্রাপ্তির আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন সে সময় আইনগত সহায়তা আইনের সহায়তা পেয়ে তিনি তার বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করতে পেরেছেন।
আর একজন বিচার প্রার্থী সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক গ্রামের তাপশী মন্ডল। তিনি তার পিতার সম্পত্তিতে আইন সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠা মামলায় এ আইনের সহায়তা নিয়ে মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আশা করি এখন সুবিচার পাব।এ আইনের সহায়তা না পেলে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতাম।
বাসস/ সংবাদদাতা/১৪৪৫/মরপা