বাসস ক্রীড়া-১০ : ‘১৩তম এসএ গেমস: বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা শীর্ষক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত

117

বাসস ক্রীড়া-১০
বিএসপিএস-সেমিনার
‘১৩তম এসএ গেমস: বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা শীর্ষক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত ‘এসএ গেমস: বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে ক্রীড়া সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন পর্যায়ের বক্তারা বলেছেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতার দায়ভার এককভাবে কারো নয়, এটা সামগ্রিক ব্যাপার। পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে পারলে সময়ের ব্যবধানে সাফল্য আসে। তবে সাফল্যটা চূড়ান্ত কিছু নয়, সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারাই বড় ব্যাপার।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষে বিএসপিএ আয়োজিত এই সেমিনারে প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার বদিউজ্জামান মিলন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তার প্রবন্ধের উপর আলোচনা করতে গিয়ে বক্তারা এ মন্তব্য করেন। এসএ গেমসের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মাঝে ব্যবধান খুঁজতে অলিম্পিক, জাতীয় ক্রীড়াপরিষদ ও ফেডােেরশন কর্মকর্তার পাশাপাশি খ্যাতিমান ক্রীড়া সাংবাদিক ও খেলোয়াড়রা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) সহযোগিতায় ও ব্লেজারবিডির পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এ সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএসপিএ’র সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত আহমদ আনন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসপিএ সভাপতি মোস্তফা মামুন।
বিওএ সহ-সভাপতি এবং মিডিয়া কমিটির সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, আমরা ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতি চাই। সরকার, অলিম্পিক এসোসিয়েশন, ফেডারেশন, মিডিয়া ও খেলোয়াড়দের মেলবন্ধন ঘটাতে পারলে ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যেতে পারবে। তিনি আরও বলেন, ফেডারেশনগুলো এগিয়ে এলে ক্রীড়ায় সবচেয়ে বেশি ইতিবাচকতা সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি আমরা মিডিয়ার গঠনমূলক সমালোচনাও প্রত্যাশা করি। এসএ গেমস শেষে যদি বিএসপিএ এই গেমসের সামগ্রিক মূল্যায়ন নিয়ে সেমিনার আযোজন করতে চায়, তাহলে বিওএ সহযোগিতা দেবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম বলেন, আমাদের কেউ কেউ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেন। অথচ এমন স্বপ্ন দেখা উচিত যা আমাদেরকে ঘুমাতে দেবে না। ক্রীড়ায় একক কারণে সাফল্য আসে না। এটা সামগ্রিক দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ক্রীড়ায় সফলতা নিশ্চিত করতে হলে প্রথমে সেই প্রকল্পের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে হবে। আমরা শুধু সম্ভাবনা দেখতে অভ্যস্ত, বাস্তবতাকে হয়তো ঠিকভাবে দেখি না।
বিওএ’র উপ-মহাসচিব এবং এসএ গেমসগামী বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের শেফ দ্য মিশন আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, এখানে অনেকেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আমি এটা বলতে চাই, কোনো ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের সুস্পষ্ট তথ্য পেলে এবং আমাদেরকে তা জানালে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।
বিওএ’র কোষাধ্যক্ষ এবং সেমিনারের পৃষ্ঠপোষক ব্লেজারবিডি’র কর্ণধার কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, খেলাধুলায় সামাজিক সহায়তা সবচেয়ে জরুরি। একজন ফেডারেশন কর্মকর্তা হিসেবে আমিও স্বর্ণ ও রৌপ্যের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছি।
২০১০ এসএ গেমসে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কারাতেকা হাসান খান সান বলেন, খেলোয়াড়দের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা থাকলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাবে। খেলেয়াড়দের স্পন্সরশিপের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা উচিত।
মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফিরোজা করিম নেলী মনে করেন, দেশের একমাত্র নারী ক্রীড়াবিদের মূল আবাসন মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স সব কিছু মানসম্মত নয়।
হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান স্বপন বলেন, ভারত আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাদের বাজেটও বেশি। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকলেও গতবারের পদক ধওে রাখার ব্যপাওে আমরা আশাবাদী।
যমুনা টিভির স্পোর্টস এডিটর রানা হাসান জানান, আমাদের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নের বস্তুনিষ্ঠ পরিকল্পনা নেই। তাই সাফল্যের ধারাবাহিকতাও থাকে না।
টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। দুই তিনটি ব্রোঞ্জ পদক এবারও টেবিল টেনিস থেকে আসতে পারে।
সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসান বলেন, আমরা ৩০ কিলোমিটারে স্বর্ণ প্রত্যাশা করছি। ৪০ কিলোমিটার ইভেন্টেও ভাল করবো। তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা দুটি স্বর্ণপদক প্রাপ্তির আশা করেছেন।
২০১৬ এসএ গেমসে জোড়া স্বর্ণপদকজয়ী সাঁতারু এবং এবারের আসরে বাংলাদেশের পতাকা বহনকারী মাহফুজা খাতুন শিলা বলেন, খেলোয়াড়দের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য এনে দেয়া ক্রীড়াবিদদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিৎ।
বাসস/এএসজি/নীহা/১৯২০/স্বব