বগুড়ার নন্দীগ্রামে নবান্ন উপলক্ষে বসেছে মাছের মেলা

218

বগুড়া, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : নবান্নে পায়েস পিঠা-পুলি গ্রাম বাঙলার ঐতিহ্যবাহী। গ্রামে নতুন ধান কাট মাড়ায়ে দারুন ব্যাস্ত কৃষক-কৃষাণীরা। পিঠ,পুলি ,পায়েসের মধ্যে থেমে নেই নবান্ন। নবান্নকে সামনে রেখে জেলার নন্দীগ্রামে বসেছে মাছের মেলা । নতুন চালের ভাতের সাথে মাছে খাওয়ার রেওয়াজ জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায়। মেয়ে-জামাই ও অন্যান্য আতœীয় স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে এসে বাহারি পিঠা-পায়েসসহ নানা রকমের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এ উৎসবকে ঘিরেই প্রতিবছর মাছের মেলা বসে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে।
উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, সিলভার কার্প, বিগহেড, বাঘা আইড়, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। এক কেজি থেকে শুরু করে ১৪ কেজি ওজনের মাছ আছে। লোকজনও ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ। কোন কোন মাছ বিক্রেতারা বিশালাকৃতির মাছগুলো মাথার ওপর তুলেধরে ক্রেতাদের আকর্ষণের চেষ্টা করছে।
উপজেলার নামুইট গ্রামের মাছ বিক্রেতা ছমির উদ্দিন বলেন, নবান্ন উৎসবকে ঘিরে অনেকে বাড়ির আশপাশের পুকুরে মাছ চাষ করে। বড় বড় মাছ নবান্ন বাজারে বিক্রি করতে আনেন। তাঁরা ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতাকে চিন্তা করে মাছের দাম কম রাখেন।
মাছ বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন , মাছের আকার ভেদে এক একটি মাছ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে সিলভার কার্প। রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিতল ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা ও বোয়াল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার দাসগ্রাম গ্রামের মাছ ক্রেতা বাদল জানান, তিনি রুই মাছ কিনেছেন ৪৮০ টাকা কেজি, ও চিতল ৯০০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন। মোট ৯৫০০ টাকার মাছ কিনেছেন।