বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : বাংলাদেশে আরব আমিরাতের আরও বড় আকারের বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

277

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সংবর্ধনা
বাংলাদেশে আরব আমিরাতের আরও বড় আকারের বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

দেশে বিদ্যমান বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নীতিমালার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইন দ্বরা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান, শুল্ক রেয়াত, যন্ত্রাংশ আমদানিতে স্বল্প শুল্ক, যে কোন সময় লাভ এবং আসল সহ প্রস্থানের সুবিধা, যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য।
তৈরি পোশাকের পরেই আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে কৃষি ভিত্তিক পণ্য উল্লেখযোগ্য আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের কৃষিজাত এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’
বাংলাদেশ এবং আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই বাংলাদেশ এবং ইউএই’র যৌথ উদ্যোগের জন্য সম্ভাবনাময় বেশ কিছু খাত খুঁজে বের করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আমিরাতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যৌথ উদ্যোগের ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ হবে এবং সম্প্রসারণ ঘটবে।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যে সম্পর্ক বহুমুখী এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।’
বাংলাদেশের পণ্য আমদানির জন্য ইউএই’র প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ইউএই ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী, পাট এবং পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, নীটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুড, বস্ত্র, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য এবং প্রকৌশল সামগ্রী আমদানি করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউএই সফরের কথা স্মরণ করেন যখন বাংলাদেশ এবং ইউএই’র মধ্যে বন্দর স্থাপন, শিল্প পার্ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, এলএনজি সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সেই সফরকালে আমরা ইউএই’র পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম। ইউএই’র সংস্থা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ এবং সৌরশক্তিসহ জ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা তখন এলএনজি টার্মিনাল এবং বন্দর প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখিয়েছিল। আমরা তখন আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প চালুর প্রস্তাব পেয়েছিলাম।’
বাসস/এএএইচজে/অনু-এফএন/১৩১০/-স্বব