দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য শিগগির আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হবে : বিসিএসসিএল

417

ঢাকা, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২ এর ধরন চূড়ান্ত করতে একজন আন্তর্জাতিক কনসালট্যান্ট নিয়োগ দিতে যাচ্ছে।
বিসিএসসিএল’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বাসসকে জানান, বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট অবশ্যই একটি হাইব্রিড স্যাটেলাইট হবে। তবে কনসালট্যান্টের কাছ থেকে মতামত পাবার পরই এটি চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি বলেন, কনসালট্যান্ট নিয়োগ দিতে শিগগির বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন জমা দিতে কনসালট্যান্টকে সবোর্চ্চ তিন থেকে চার মাস সময় দেয়া হবে।
গত বছরে দেশের প্রথম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ সফল উৎক্ষেপনের পর বিসিএসসিএল দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের উদ্যোগ নেয়। সরকার ২০২৩ সাল নাগাদ এর চলতি মেয়াদকালের মধ্যেই এটি উৎক্ষেপন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিসিএসসিএল বলেছে, প্রথম স্যাটেলাইটটি হচ্ছে জিও ষ্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। দ্বিতীয় স্যাটেলাইটটি হবে হাইব্রিড স্যাটেলাইট। এটি আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং অন্যান্য কর্মকান্ডের পাশাপাশি নজরদারি কাজে সহায়তা করবে।
ড. মাহমুদ বলেন. বাংলাদেশ চারটি অবস্থানে ন্যাশানাল অরবিটাল স্লটের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের কাছে (আইটিইউ) আবেদন জানিয়েছে। দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য স্পেসে স্লট চারটি হচ্ছে ৬৯ই, ৭৪ই, ১০২ই এবং ১৩৩ই। তবে স্লটগুলো শুধুমাত্র দেশে কভারেজ দেবে।
বিসিএসসি চেয়ারম্যান ড. মাহমুদ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইটের ভাড়ার জন্য সরকারি নীতির প্রয়োজন রয়েছে। তিনি স্থানীয় স্যাটেলাইট ব্যবহারকারীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের পরামর্শ দেন।
৯ বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্রেক ইভেন্ট পয়েন্টে পৌছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এটির ২৬ শতাংশ সক্ষমতা বিক্রয় করে বছরে ১২৫ কোটি টাকা আয় করা যবে। কোম্পানি আরো ২৫ শতাংশ সক্ষমতা বিক্রয় করার জন্য আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
ড. মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাকি সক্ষমতা বিক্রয় করে আরো তিনশত কোটি টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে।
রাশিয়ান কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিক-এর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু-১ এর জন্য বাংলাদেশ ১১৯.১ পূর্ব উপগ্রহ লীজ নিয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন বিসিএিসসি’র প্রথম গ্রাহক। বিটিভি’র কাছ থেকে বিসিএসসিএল বছরে ১৮ কোটি টাকা ভাড়া পাবে। বিসিএসসিএল অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কাছ থেকে বছরে ৬০ কোটি টাকা আয় করবে। এ ছাড়া নৌ ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত আরো ৪ কোটি টাকা পাবে।