বাসস দেশ-২৩ : নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপদ সীমার কাছে

352

বাসস দেশ-২৩
তিস্তা বিপদ সীমা
নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপদ সীমার কাছে
নীলফামারী, ১ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে ডিমলা উপজেলার ডালিয়ায় অবস্থিত তিস্তা সেচ প্রকল্পের ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদ সীমার দুই সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি রোববার সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ১০ সেণ্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫ সেণ্টিমিটার, বেলা ১২টায় ৪ সেণ্টিমিটার এবং বিকাল ৩টায় ২ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই পয়েণ্টে পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেণ্টিমিটার।
পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি, জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত প্রায় ১৫টি চর গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন জানান, শনিবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। রোববার দুপুর একটা পর্যন্ত ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কিছু ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। একই অবস্থা নদীর তীরবর্তী টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা থেকে তিস্তা নদীর উজানে ভারতের গজলডোবা থেকে ঢল আসতে শুরু করে। ওই ঢলের পানিতে রোববার সকাল থেকে তিস্তা পানি বৃদ্ধি পেলেও বিকেল পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারেজের সব কটি (৪৪টি) গেট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
বাসস/সংবাদদাতা/২০৩৩/মরপা