বিটিআরসি’কে ২০০ কোটি টাকা দিতে চায় গ্রামীণ ফোন

195

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস): গ্রামীণ ফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পাওনা (বিটিআরসি) ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা আদায়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আনা আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়েছে।
আগামী ১৮ নভেম্বর এ বিষয়ে আদেশের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
শুনানিতে গ্রামীণফোনের আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, তারা বিটিআরসিকে ২০০ কোটি টাকা দিতে রাজি। অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০০ কোটি টাকা দিতে চায় গ্রামীণফোন।অপরদিকে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে পাওনা আদায়ের ওপর হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে শুনানি করে বিটিআরসি।
বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী ধার্য তারিখে আদেশ দিবেন আপিল বিভাগ।
গত ৩১ অক্টোবর গ্রামীণ ফোনকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হল।
গত ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বিটিআরসির আবেদনের ওপর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রেরণ করে দিন ধার্য করে দেন।
গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির ১২ হাজার ৫শ ৮০ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। গ্রামীণফোনের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞাসহ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিল আদালত ।
চলতি বছরের ২ এপ্রিল বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫শ ৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছিল। পরে গ্রামীণফোন ওই চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালতে মামলা করে। একইসঙ্গে ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।