বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় নেপাল : কেপি শর্মা অলি

569

কাঠমান্ডু (নেপাল), ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি বলেছেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় নেপাল।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান অলি শর্মা আজ সফররত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে একথা বলেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং জনগণের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসস’কে বলেছেন, আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও নেপালের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কাঠমান্ডুর ম্যারিয়ট হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দিন দিন আরো জোরদার হচ্ছে।
কে পি শর্মা বলেন, বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশটি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় পৌঁছে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এসব সাফল্যের জন্য আমি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানাই।’
নেপাল সরকারের নেয়া রূপকল্প-২০৩০ সালের মধ্যে ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপাল’ গড়ার লক্ষ্যে নেপাল সরকার বাংলাদেশের সর্বাত্মক সহযোগিতা চায়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নেপালের উন্নয়ন কৌশলের প্রশংসা করে আশ্বস্ত করেছেন যে, বাংলাদেশ নেপালের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশের বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এ ক্ষেত্রে উভয় দেশ লাভবান হবে।
তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে মেডিকেল কলেজগুলোতে ৬ হাজার নেপালী শিক্ষার্থীর ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী করায় বাংলাদেশে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা চান।
আবদুল হামিদ এ সমস্যা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ২০১৮ সালে একাই ৩৭ হাজার পর্যটক নেপালে পাঠিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন নেপালের আরো অনেক পর্যটক বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সুন্দরবন পরিদর্শনে আসবে।
হুইপ আতিউর রহমান আতিক, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়–য়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল শামীম-উজ-জামান, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ও নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।