রাঙ্গার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি

257

সংসদ ভবন, ১২ নভেম্বর ২০১৯ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ নুর হোসেন সম্পর্কে কটুক্তি করায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আজ সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে সরকারি দলের সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী বিষয়টির সূত্রপাত করলে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা আলোচানায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান।
আলেচনায় অংশ নিয়ে সিনিয়র সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, এরশাদ বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সে সময় শুধু নুর হোসেন নয় সেলিম, দেলোয়ারসহ অসংখ্য নেতা কর্মীকে তৎকালীন এরশাদ সরকার হত্যা করেছিল। আর বুকে পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক” শ্লোগান লিখে আন্দোলনে সামিল হওয়া নুর হোসেনকেও সে সময়কার সরকার নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। তার আত্ম ত্যাগের মধ্য দিয়ে এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং ‘৯০ সালে গণঅভূত্থানে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
রাঙ্গার বক্তব্যকে জনাব আমু দৃষ্ঠতামূলক উল্লেখ করে এ জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে তার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
সরকারি দলের অপর সিনিয়র সংসদ সদস্য তোফায়েল আাহমেদ বলেন, যেখানে জনাব রাঙ্গার নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শহীদ নুর হোসেনের বাসায় গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, সেখানে রাঙ্গা এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার দৃষ্ঠতা কিভাবে দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদ রাঙ্গাকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও জাতির কাছে নিশঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, নুর হোসেন গনতন্ত্রের জন্য আত্মহুতি দিয়েছেন। তার এ আত্মত্যাগের ফলে পরবর্তীতে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। আর গণতন্ত্র মুক্তি পায়। রাঙ্গা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও নুর হোসেন সম্পর্কে যে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন, তার জন্য তাকে জাতির কাছে নি:শর্ত ক্ষামা চাইতে হবে। শুধু তা নয়, এ জন্য জাতির পার্টির পক্ষ থেকেও ব্যাখা দিতে হবে।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রাঙ্গার বক্তব্য জাতীয় পার্টির বক্তব্য নয়। জাতীয় পার্টি এ বক্তব্যকে সমর্থন করে না। এটা জনাব রাঙ্গার সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত বক্তব্য। তারপরও তারা এ বক্তব্যের জন্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও সরকারি দলের নাহিদ এজহার খান।