নীলফামারীতে দুই অর্থ বছরে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাচ্ছেন ৪৬৭ পরিবার

207

নীলফামারী, ১০ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় দুই অর্থবছরে দুূর্যোগ সহনীয় ঘর পাচ্ছেন ৪৬৭ গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ‘জমি আছে ঘর নাই’ এমন পরিবারের বাসস্থান নিশ্চিতে এসব ঘর প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে ২১২টি পরিবারের বাসস্থানের ঘর।
সূত্র জানায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ২১২ গৃহহীন পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ডোমার উপজেলায় ৩২ পরিবার, ডিমলায় ৩৬, নীলফামারী সদরে ৩৮, জলঢাকায় ৪৪, কিশোরগঞ্জে ৩২ এবং সৈয়দপুরে ৩০ পরিবার রয়েছে। প্রতিটি পরিবারের বসবাসের জন্য টিন সেডের পাকা দুটি কক্ষ, রান্নাঘর, স্যানিটারী ল্যট্রিন রয়েছে। এ কাজে প্রতি পরিবারের জন্য খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এসব ঘরের নিমাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ায় দ্রুত উপকারভোগীর মাঝে হস্তান্তর করা হবে।
অপরদিকে একই কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ঘর পাবে ২৫৫ পরিবার। এর মধ্যে ডোমারে ৩৮ পরিবার, ডিমলায় ৪৩, নীলফামারী সদরে ৪৬, জলঢাকায় ৫৪, কিশোরগঞ্জে ৩৮ এবং সৈয়দপুরে ৩৬ পরিবার। এবারে প্রতি পরিবারের জন্য ওই বাসস্থান নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ২লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০টাকা। উকারভোগীর তালিকা যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যে।
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ঘর পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কিসামতডাঙ্গী গ্রামের ওবায়দুল ইসলাম। ভিক্ষা করে দিন চলে তার। ওই উপজেলার সকল উপকারভোগীর একই অবস্থা। ওবায়দুল বলেন, ‘ভাবিবার পারো নাই প্রধানমন্ত্রী মোক পাকা ঘর দিবে। এলা ছাওয়ালাক নিয়া আইতোত একনা শান্তিত নিন পারিবার পারিম’।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রকৃত উপকারভোগীর তালিকা প্রস্তু করেছি আমরা। ঘর পাওয়ার তালিকায় যারা আছেন তাদের সকলের অবস্থা ওবায়দুলের মত।’
জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, যেসব ব্যক্তি প্রকল্পের উপকারভোগী হয়েছেন তাদের এধরণের ঘর তৈরীর সক্ষমতা নেই। প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে।