চাঁদপুরে ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এর প্রভাবে বৃষ্টি ও জড়োহাওয়া বইছে

181

চাঁদপুর, ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ( বাসস): ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবের কারণে গত শুক্রবার থেকে থেমে বৃষ্টি ও জড়োহাওয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে কোথায়ও কোন ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলের সাড়ে ৫ হাজার বাসিন্দাকে সাইক্লোন সেন্টারে নিরাপদে রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টা পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলার বৃষ্টিপাত বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকার্ড করা হয়েছে ১৯ মিলিমিটার।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা শোয়েব হোসেন বাসসকে জানান, চট্টগ্রামসহ চাঁদপুর অঞ্চলে এখন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়ে । চাঁদপুরে সকাল ১০টা পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ৭৮ থেকে ৮৫ কিলোমিটার।
চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে আসা এবং লঞ্চঘাটে আটকে পড়া প্রায় শতাধিক যাত্রীকে চাঁদপুর পৌরসভা থেকে শনিবার রাতে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অপরদিকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের ফেরিগুলো বন্ধ রয়েছে। ফেরিঘাটের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে ৩ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বাসসকে জানান, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বুলবুলের ক্ষতি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৮৪ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৭৩৬ ব্যান্ডেল টিন এবং প্রতি ব্যান্ডেলের জন্য ৩ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, এছাড়াও ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় চাঁদপুরে ৫৮টি মেডিক্যাল টিম, স্থানীয় স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টা থেকে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী সকল যাত্রীবাহী লঞ্চসহ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা রয়েছে।