বাসস দেশ-৪১ : নদী রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ

445

বাসস দেশ-৪১
আলোচনা-নদী
নদী রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : আজ এখানে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা অবৈধ দখলকারীদের কবল থেকে ভূমি ও নদী রক্ষা, বিশেষ করে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন গড়ে তোলা বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
‘ইনসিডিন’ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মোহাম্মদপুরে সংস্থার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ভূমি দখল: প্রতিরোধে সাম্প্রতিক সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। সাউথ এশিয়ান এ্যালিয়েন্স ফর প্রভার্টি ইরাডিকশন (এসএএপিই) সহযোগিতায় এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে মূল বক্তা ছিলেন ইনসিডিন বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক একেএম মুস্তাক আলী। অন্যান্যের মধ্যে বুড়িগঙ্গা বাচাঁও আন্দোলন’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব এবং বাপার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বাংলাদেশ আদিবাসি ফোরাম ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নির্বাহী পরিচালক রাজকুমার শাহ্, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক লাকি আকতার এবং এসএএপিই’র উপ-পরিচালক শাহানাজ সুমি বক্তব্য রাখেন।
মিহির বিশ্বাস বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে ২৪,০০০ কিলোমিটার নদী ছিল। এটি কমে এখন ৫ হাজার কিলোমিটার হয়েছে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাদের দায়িত্বহীনতার কারণে নদী দূষণ হচ্ছে।
বাপা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নদীগুলোর প্রকৃত অবস্থা চিহিৃত করতে একটি কার্যকর গবেষণার প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, আমাদেরকে নদী রক্ষার উপায় খুজে বের করতে হবে। নদী উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে জোন ভিত্তিক পরিকল্পনা করতে হবে।
লাকি আকতার বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী ও খালগুলো অবৈধভাবে ভরাট করে ফেলেছে। এ সকল এলাকার জনগণ তাদের জমি ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছে অথবা ছেড়ে চলে গেছে।
শাহানাজ সুমি বলেন, এই সমস্যা সমাধানে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশসমূহে একটি আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বাসস/এসএইচ/অমি/২০৩০/-আসাচৌ