বাসস রাষ্ট্রপতি-২ : ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে রাসুল (স:) এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয় : রাষ্ট্রপতি

272

বাসস রাষ্ট্রপতি-২
রাষ্ট্রপতি-ঈদে মিলাদুন্নবী
ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে রাসুল (স:) এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয় : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ৯ নভেম্বর ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী রাসুল (স:) এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়।
আগামীকাল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মহানবী (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সাঃ) প্রদর্শিত সত্য ও সুন্দরের পথে চলার তৌফিক দিন।’
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহ’কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তা’আলা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে সমগ্র্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মূনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। আল্লাহর প্রতি অতুলনীয় আনুগত্য, অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলী, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআন তাঁর উপর অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা, মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিদায় হজের ভাষণ মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারী হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবী (সাঃ) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে।
বাসস/তবি/এমআর/২০০১/-কেএমকে