বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি

138

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
হামিদ-গণতন্ত্র
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
আগামীকাল শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতষ্ঠার সংগ্রামে ১০ নভেম্বর এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী সৈনিক নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ এই স্লোগান শরীরে ধারণ করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘সেদিন প্রতিবাদের পুরোভাগে থাকা শহিদ নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। আমি শহিদ নূর হোসেন দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর আমরা কাঙ্খিত বিজয় অর্জন করি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরু তখন থেকেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে আবারো গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ হয়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের।’
তিনি বলেন, ‘অনেক আন্দোলন সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এ আন্দোলনে শহিদ নূর হোসেনসহ আরো অনেকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন।’
বাসস/তবি/বিকেডি/১৮৫৫/-আসাচৌ