বাসস দেশ-২৭ : চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি, কনটেইনার হ্যান্ডলিংও বন্ধ হচ্ছে

254

বাসস দেশ-২৭
চট্টগ্রাম-বন্দর-অ্যালার্ট
চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি, কনটেইনার হ্যান্ডলিংও বন্ধ হচ্ছে
চট্টগ্রাম, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর সংকেত দেখাতে বলায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণভাবে ‘অ্যালার্ট-৩ জারি’ করেছে।
এর ফলে বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
পণ্যবাহী জাহাজগুলো জেটি থেকে সমুদ্রে পাঠানো হচ্ছে এবং কর্ণফুলী নদীর বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলো শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বহির্নোঙরে (সাগরে) অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব বড় জাহাজের ইঞ্জিন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভায় প্রথমে অ্যালার্ট-২ জারি করেন বন্দর চেয়ারম্যান।
এরপর সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৬ নম্বর সংকেত জারির পর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করেছে।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের মূল জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলো শনিবার (৯ নভেম্বর) বহির্নোঙরে সরিয়ে নেওয়া হবে। এর আগেই সবকটি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট প্যাকিং করা হবে। ঝড়ো হাওয়ায় যাতে কনটেইনার পড়ে পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে একটির ওপর কয়েকটি রাখা কনটেইনার নামিয়ে রাখা হবে। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড পোর্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেটেশন প্ল্যান ১৯৯২ অনুযায়ী বন্দর চেয়ারম্যান নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর ৫ থেকে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখালে অ্যালার্ট-৩ জারি হয়ে যায়। মহাবিপদসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়।
বন্দর চ্যানেল, বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজ, মূল জেটি ও টার্মিনালের কার্গো, কনটেইনার, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট রক্ষায় বন্দর কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানলে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায় সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দুইটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।
নৌ-বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-৭২৬৯১৬। পরিবহন বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-২৫১০৮৭৮।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় দামপাড়াসহ সিএমপির সদর দফতরে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে।
নগরবাসীকে জরুরি প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন ও মোবাইলফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে : নম্বরগুলো হচ্ছে- ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৬৭৯১২৩৪৫৬, ০৩১-৬৩৯০২২ ও ০৩১-৬৩০৩৫২।
বাসস/জিই/এমএমবি/২৩৫৫/-স্বব