সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে দেড় হাজার পর্যটক

297

কক্সবাজার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে সমুদ্র উত্তালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এক হাজারের বেশি পর্যটক টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতেও পারেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কারণে কক্সবাজার সহ দেশের সমুদ্র বন্দরসমুহে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। এ কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি জানান- দ্বীপে বেড়াতে এসে আটকা পড়া পর্যটকেরা নিরাপদে রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে। এই রুটে তিনটি জাহাজ চলাচল করে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে আড়াই হাজারের মতো পযর্টক সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে যায়। প্রায় ১২শ’ পর্যটক রাতে দ্বীপে অবস্থান করে। এর আগের কয়েকদিনে যাওয়া আরও ৩ শতাধিক পযর্টক দ্বীপে অবস্থান করছিলেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পযর্টকরা এসে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে ভিড় করলেও জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় এক হাজারের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারেনি। এদের অনেকে টেকনাফের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ দ্বীপে যায়নি। এর আগের দিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে অনেক পর্যটক আটকা পড়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।
দ্বীপে আটকা পড়া হুমায়ুন কবির নামে এক পর্যটক জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখানে ভ্রমণে আসা প্রায় দেড় হাজার পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন। তারা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে রয়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ বলেন, দ্বীপে বেড়াতে এসে দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে। তাদের কাছ থেকে কেউ যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে সেজন্য হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজমীর ইলাহি বলেন, দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। কোনো পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে দেয়া হয়নি। দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে রাত্রিযাপন করতে পারে সেজন্য সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।