উন্নত বিশ্বের সাথে শত শত বছরের ব্যবধান দূর করতে ফাইভ জি একটি সহায়ক শক্তি : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

577

ঢাকা, ৭ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, উন্নত বিশ্বের সাথে শত শত বছরের ব্যবধান দূর করতে ফাইভ জি একটি সহায়ক শক্তি।
আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি আয়োজিত ফাইভ জি প্রবর্তনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সাথে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধির মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো: জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট স্পেশালিস্ট রাজেন্দ্র সিংহ ফাইভ জি বিষয়ক গবেষণা লব্ধ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে শরীক হতে না পারায় শিল্পোন্নত বিশ্বের সাথে আমাদের বিশাল ব্যবধান তৈরি হয়েছে। শত শত বছরের সৃষ্ট এ ব্যবধান দূর করতে ফাইভ জি প্রযুক্তি হবে একটি বড় সহায়ক শক্তি। ফাইভ জি প্রযুক্তি মানে একটি নতুন সভ্যতার বাহন। এই প্রযুক্তি কেবল মোবাইলে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট বা ফেসবুক ব্রাউজ করার প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক। ইতোমধ্যে ফাইভ জি প্রযুক্তি চালুর প্রস্তুতি বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিল্প, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং মৎস্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে রোবটিক, আইওটি, এআই, ব্লকচেইন কিংবা বিগডাটার প্রয়োগের মাধ্যমে চমকে দেয়ার প্রযুক্তি হচ্ছে ফাইভ জি। ফাইভ জি‘র প্রয়োগ আর্থ-সামাজিক ও জনসম্পদের বিবেচনায় পৃথিবীর নানা দেশে নানা রকম হতে পারে।
তিনি বলেন, ড্রাইভার বিহীন গাড়ী জাপানের জন্য আনন্দের কিন্তু আমাদের লাখ লাখ ড্রাইভার বেকার হওয়ার বিষয়টি হবে অমানবিক। তেমনি রোবটিক প্রযুক্তির বিকাশে শ্রমিক বিহীন গার্মেন্টস শিল্প আমাদের কাম্য হতে পারে না। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিবেচনায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনে ফাইভ জি‘র প্রয়োগিক দিকটি নিশ্চিত করা হবে।
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি রাজেন্দ্র সিংহ বলেন, ডিজিটার পদ্ধতিতে জনসাধারণের মধ্যে সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া, দারিদ্র্য বিমোচনসহ ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। শহর এবং গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষ্যম্য কমিয়ে আনতে ব্যান্ডউইথ সম্প্রসারণ করা একটি খুবই কার্যকর একটি উপায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় খসড়া ফাইভ জি নীতিমালা এবং গাইড লাইন প্রণয়ণ, নেটওয়ার্ক ও তরঙ্গ ব্যবস্থাপনাসহ পথ নকশা তুলে ধরা হয়।