রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি সম্পৃক্ত রয়েছে : মোমেন

321

ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস): পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আসিয়ানের দেশগুলোর সাথে পুরোপুরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সফররত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস’র সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের (মিয়ানমারে) ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে আমাদেরকে (বাংলাদেশ) আরো সহযোগিতা করতে পারে সে ব্যাপারে আমার বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর মোমেন ও মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পৃথকভাবে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মোমেন বলেন, ভালভাবে বসবাসের জন্য রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে সরিয়ে নেয়ার বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এ সিনিয়র কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে ভাসান চরে যেতে বাধ্য করবো না। তবে তারা (রোহিঙ্গারা) সেখানে (ভাসান চর) গেলে ভালভাবে বসবাসের সুযোগ পাবে।’
মোমেন বলেন, মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে সরকারের পরিকল্পনার ব্যাপারে কোন আপত্তি উত্থাপন করেনি। তবে ওয়েলস পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান যে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রচেষ্টায় তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা ব্যয় বাড়তে পারে সে বিষয়টি তারা মূল্যায়ন করবে। গৃহহীন এসব মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বৃহত্তম দাতা দেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশে বিশেষকরে অবকাঠামো খাতে যুক্তরাষ্ট্রের আরো বিনিয়োগ চেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, আমাদের বিনিয়োগ আমরা বহুমুখী করতে চাই।’
এরআগে, পৃথক এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে ওয়েলস বলেন, রোহিঙ্গাদের এবং কক্সবাজারের স্থানীয় কমিউনিটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের পাশে রয়েছি। আমি কক্সবাজারের স্থানীয় কমিউনিটির জন্য কর্মসূচির পরিসর নিয়ে আলোচনা করেছি।’
বৈঠককালে মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, তারা মানব পাচার, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ দমন ও জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী মিশনের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের কাঙ্খিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঢাকার সাথে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অংশীদারিত্বকে সর্বদা মূল্যায়ন করে উল্লেখ করে ওয়েলস বলেন, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হতে চলেছে।