প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের প্রতিবেদন প্রকাশে বাসস-একুশে পত্রিকার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

821

চট্টগ্রাম, ২ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগের প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক একুশে পত্রিকার এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. এ. কিউ. এম. সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, চসিকের প্রাক্তন কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু প্রমুখ।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগ সব নাগরিকের জন্য, শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য নয় বা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের জন্য নয়। এটা আমরা যারা নাগরিক আছি, সবার জন্য এই বিশেষ দশটি উদ্যোগ।
তিনি বলেন, এই দশটি উদ্যোগ একেবারে সময়োপযোগী। এর ফলে যারা উপকৃত হবে, তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরী হবে। দশটি উদ্যোগের সুফল এখন আমরা পাচ্ছি। দেশে এখন শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, মাতৃমৃত্যু হার কমেছে, শিশুমৃত্যু হার কমেছে, দারিদ্রতা কমেছে।
মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, দশটি বিশেষ উদ্যোগের প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আজকে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হচ্ছে, এটা একুশে পত্রিকার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস এর প্রতিফলন। এখন একুশে পত্রিকার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।
সভাপতির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নৈতিক দায়িত্ব থেকে দশটি বিশেষ উদ্যোগের প্রচার করা উচিত। আমাদের মধ্যে একটা ধারণা আছে, সরকারের উন্নয়ন নিয়ে লেখা মানে দালালি করা। অথচ উন্নয়ন হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই দেশটি আমাদের। আমরা চিরকাল থাকবো না, আগামী প্রজন্ম আসবে। তাকে কেন আমি উন্নয়নের কথা বলবো না?”
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বললেন, আমরা অনেকেই হাসাহাসি করেছি। বিদ্যুৎ চলে গেলে বলা হতো, ডিজিটাল বিদ্যুৎ চলে গেল। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়লেন তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর যখন আবার ক্ষমতায় আসলেন, তখন দেশে বিদ্যুৎ উৎপান ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এক হাজার মেগাওয়াট নাই।
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যকর কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
সভার শুরুতে বাসসের বিশেষ সংবাদদাতা ও প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মাহফুজা জেসমিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধরেন।
এরআগে, শুক্রবার রাতে একুশে পত্রিকা কার্যালয়ে সম্পাদক ও প্রতিবেদকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগের ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।