বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : সমবায়ের মাধ্যমে আয়-বৈষম্য হ্রাস করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব : রাষ্ট্রপতি

148

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
হামিদ-সমবায়
সমবায়ের মাধ্যমে আয়-বৈষম্য হ্রাস করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, সমবায়ের মাধ্যমে আয়-বৈষম্য হ্রাস করে ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সমবায় পদ্ধতি পারস্পরিক সহযোগিতা, সমবেত প্রচেষ্টা, মূল্যবোধের চর্চা এবং সম্মিলিতভাবে টিকে থাকার নীতিতে বিশ্বাস করে।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে সমবায় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল, সক্রিয় এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লি¬ষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে আরো তৎপর হওয়ারও আহবান জানিয়েছেন।
আবদুল হামিদ জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল শনিবার ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০১৯ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। তিনি (বঙ্গবন্ধু) সমবায়কে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেও মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে সমবায় মালিকানার বিধান রাখা হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,প্রতিটি সমবায় সমিতি গণমানুষের মৌলিক সমস্যা নিরসনে এক একটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। এখানে মানুষের মাথাপিছু জমি ও সম্পদের পরিমাণ অত্যন্ত সীমিত। তাই কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ ব্যবসা বাণিজ্যে পুঁজি গঠনে সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, পল্লী অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন, নতুন-নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিসহ নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই সমবায় কার্যক্রমের সফলতা অর্জনে সংশ্লি¬ষ্ট সকলের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা একান্ত কাম্য।
তিনি ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/জেডআরএম/১৮৩৫/-আসাচৌ