১২ লাখ নতুন করদাতা সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে জরিপ শুরু

223

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : ১২ লাখ নতুন করদাতা সংগ্রহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে। এবার বহিরাঙ্গন ও অভ্যন্তরীণ দুই পর্যায়ে জরিপ কাজ পরিচালিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স এবং বিদ্যুৎ,গ্যাস,পানিসহ অন্যান্য সেবা প্রদানকারি সংস্থার তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি করদাতা চিহ্নিত করতে গৃহসম্পত্তির হিসাব নিচ্ছে জরিপ কর্মীরা।
সম্প্রতি এনবিআর সারাদেশে নিবিড় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন করাঞ্চলকে নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে চলতি মাসে দেশব্যাপী কর জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য মো. মেফতাহ উদ্দিন খান বাসস’কে বলেন,পুরো বছরজুড়ে আমাদের নতুন করদাতা সংগ্রহের কাজ চলে। তবে এবার আমরা জরিপ কার্যক্রমের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। গ্রাম পর্যন্ত ঘরে ঘরে গিয়ে করদাতা সংগ্রহ করতে চাই। সেক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গৃহসম্পত্তির হিসাব নেয়ার পাশাপাশি সেবা প্রদানকারি সংস্থার তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন করাঞ্চলকে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে তারা জরিপ শুরু করেছে।
এনবিআরের এই কর্মকর্তা বলেন, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমরা কর জরিপের মাধ্যমে ৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন করদাতা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এসব করদাতারা ই-টিআইএন নিবন্ধনের পাশাপাশি আয়কর ফাইল চালু করেছে। এই সাফল্যের প্রেক্ষিতে আমরা এবারও আশা করছি ১২ লাখ নতুন করদাতা সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে যে কর জরিপ শুরু হয়েছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা সক্ষম হবো।
এনবিআর সূত্র জানায়,জনবলের অভাবে কর কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরিপ কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তাই গতবছরের মত এবারও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে এবার প্রথমবারের মত প্রত্যেক জরিপ টিমে নারী শিক্ষার্থীদের রাখা হচ্ছে।
এনবিআর বলছে,মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ার প্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশন,পৌরসভা,উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত অসংখ্য পাকা বাড়ি ও ফ্ল্যাট নির্মিত হয়েছে। এদের মধ্যে একক ও যৌথ মালিকার অনেক করযোগ্য ব্যক্তি থাকলেও করনেটের বাইরে রয়েছে। তাই নতুন করদাতা সনাক্তে গৃহস্পত্তি খাত বা যাদের পাকা বাড়ি, ফ্ল্যাট আছে তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এসব সম্পত্তির মালিকের তথ্য বহিরাঙ্গন ও অভ্যন্তরীণ দুইভাবে যাচাই করা হচ্ছে। এতে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও নতুন করদাতা সনাক্ত করা সহজ হচ্ছে।