বাসস ক্রীড়া-১১ : তরুণ রিশাদের চমকে প্রথম দিনই কুপোকাত রাজশাহী

144

বাসস ক্রীড়া-১১
ক্রিকেট-এনসিএল
তরুণ রিশাদের চমকে প্রথম দিনই কুপোকাত রাজশাহী
কক্সবাজার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : রংপুর বিভাগের তরুণ লেগ স্পিনার ১৭ বছর বয়সী রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে পড়ে ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচের প্রথম দিনই কুপোকাত হলো রাজশাহী বিভাগ। রিশাদের ৫ উইকেট শিকারে ২০১ রানেই অলআউট হয়েছে রাজশাহী। প্রতিপক্ষকে অলআউট করে দিয়ে স্বস্তিতে নেই রংপুরও। ব্যাট হাতে নেমে প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে ৩২ রান তুলেছে রংপুর। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৬৯ রানে পিছিয়ে তারা।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্বান্ত নেয় রাজশাহী বিভাগ। কিন্তু ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি তারা। ১০ ওভারের মধ্যে ২৯ রানে ২ উইকেট হারায় রাজশাহী। ওপেনার সাব্বির হোসেন ও তিন নম্বরে নামা জুনায়েদ সিদ্দিকীকে বিদায় দেন বাঁ-হাতি পেসার সাজেদুল ইসলাম। সাব্বির ৫ ও জুনায়েদ ৭ রানে আউট হন।
এরপর দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মিজানুর রহমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলকে বিপদমুক্ত করে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যান তারা। অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যাবার স্বপ্ন দেখছিলেন মিজানুর ও শান্ত। কিন্তু মধ্যাহ্ন-বিরতির আগের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান রিশাদ। ৫৯ বলে ২৪ রান করা মিজানুরকে আউট করেন রিশাদ। এমন অবস্থায় ৩ উইকেটে ৭৮ রান নিয়ে বিরতিতে যায় রাজশাহী।
বিরতির আগে প্রথম উইকেট শিকারের পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেন তৃতীয় প্রথম শ্রেনির ম্যাচ খেলতে নামা রিশাদ। তাই বিরতি থেকে ফিরে আবারো রাজশাহী শিবিরে আঘাত হানেন তিনি। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া শান্তকে শিকার করেন রিশাদ। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৭ বলে ৩৪ রান করেন শান্ত।
কিছ্ক্ষুণ পর আবারো রাজশাহীর শিবিরে আতংক ছড়ান রিশাদ। এবার জাতীয় দলের খেলোয়াড় সাব্বির রহমানকে বিদায় দেন রিশাদ। ৮ রানে থামেন তিনি। ফলে দলীয় স্কোর শতরানে পৌছানোর আগেই ৫ উইকেট হারায় রাজশাহী।
এ অবস্থায় বড় জুটি গড়ার পরিকল্পনা করেন অধিনায়ক ফরহাদ হোসেন ও সানজামুল ইসলাম। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিলো জুটিটি। কিন্তু আবারো রাজশাহীর বিপদ ডেকে আনেন রিশাদ। ১০ রান করা সানজামুলকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান রিশাদ।
সানজামুলের সাথে ৩২ রান যোগের পর মুক্তার আলিকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন ফরহাদ। এতে ২শ’ রানের কোটা পেরোনের পথ পায় রাজশাহী। কিন্তু দলীয় ১৯০ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ফরহাদ। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১৩ বলে ৬০ রান করা ফরহাদকে বিদায় দেন রিশাদ। ইনিংসে এটি তার পঞ্চম উইকেট। ফলে প্রথম শ্রেনিতে নিজের তৃতীয় ম্যাচেই প্রথমবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকারের স্বাদ নিলেন রিশাদ। আগের ২ ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর শেষ উইকেটে ১১ রান পাওয়ায় ২০১ রানেই গুটিয়ে যায় রাজশাহী। ২০ ওভার বল করে ৫০ রানে ৫ উইকেট নেন রিশাদ।
চা-বিরতির পর রাজশাহীকে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করে রংপুর বিভাগ। ব্যাট হাতে নেমে ১২ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় রংপুর। মাহমুদুল হাসান ২ ও সোহরাওয়ার্দি শুভ ১ রান করে আউট হন। তবে মেহেদি মারুফ ১৯ ও নাইম ইসলাম ৬ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রাজশাহী বিভাগ : ২০১/১০, ৭১.৪ ওভার (ফরহাদ ৬০, শান্ত ৩৪, রিশাদ ৫/৫০)।
রংপুর বিভাগ : ৩২/২, ১৬ ওভার (মারুফ ১৯*, নাইম ৬*, তাইজুল ১/৬)।
বাসস/এএমটি/১৯০৫/স্বব