চাঁদপুরে বোরো উৎপাদন হয়েছে ২লাখ ৪৮ হাজার মে. টন : উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত

425

চাঁদপুর, ২৯ জুন, ২০১৮ (বাসস): জেলায় এবার বোরো উৎপাদন হয়েছে ২লাখ ৪৮ হাজার মে. টন। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগ। জেলার ৮ উপজেলায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এবছর আবাদ হয়েছে ৬২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬২০ মে.টন।
চাঁদপুর কৃষি বিভাগ চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬১ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৩ মে.টন । ফলে ১ হাজার ৪ শত হেক্টর জমিতে চাষাবাদ কম হলেও উৎপাদন ৩ হাজার ২শত মে. টন বেশি হয়েছে, এ তথ্য জানিয়েছে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ।
হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকেন চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে। চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়েছে। চাঁদপুররে ৮ উপজলোয় ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৯৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা । ব্যাংক গুলো কৃষকদের মাঝে ২০১৭-২০১৮ র্অথবছরে ১৩৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।
চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদরে ৫ হাজার ৬ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়ে উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৮২৯ মে.টন, মতলব উত্তরে ৮ হাজার ৯ শত হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়ে উৎপাদন হয়েছে ৩৬ হাজার ৩৭৭ মে.টন।
মতলব দক্ষিণে ৪ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়ে উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার ৫৪৩ মে.টন, হাজীগঞ্জে ১০ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়ে উৎপাদন হয়েছে ৪১ হাজার ৫ শত মে.টন।
শাহারাস্তিতে ৯ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়ে উৎপাদন হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৫ মে.টন।
কচুয়ায় ১২ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়ে উৎপাদন হয়েছে ৪৭ হাজার ৯০ মে.টন।
ফরিদগঞ্জে ১০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়ে উৎপাদন হয়েছে ৩৯ হাজার ২৬০ মে.টন এবং হাইমচরে ৬৪৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়ে উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৫৩৬ মে.টন।
চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আলি আহমেদ জানান, চাঁদপুর জেলায় এবার বোরো উৎপাদন হয়েছে ২লাখ ৪৮ হাজার মে.টন:, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। চাঁদপুরের কৃষকরা হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে। তিনি অরো জানান, কৃষকরা বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এতেই আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ছে।