কৃষি ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণ ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করা হবে : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

479

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষকদের সহায়তা সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি প্রদান করছে। এ ভর্তুকির পরিমাণ ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করা হবে।
আজ শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ডিপ্লোমা কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের সভাপতি এটিএম আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. মুজিবুর রহমান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের মহাসচিব মোঃ আলফাজ উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে যে সুদৃঢ় অবস্থান করে নিয়েছে, তার পেছনে কৃষিবিদরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। দেশের কৃষিক্ষেত্রের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পেছনে কৃষিবিদদের ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, কৃষির উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনার কারণেই কৃষিতে বাংলাদেশ আজ ঈর্ষণীয় অবস্থান গড়তে পেরেছে। এই অবস্থানকে আরও এগিয়ে নিয়ে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে কৃষিবিদদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামি দিনে যুদ্ধ হবে খাদ্য ও পানির জন্য। এই যুদ্ধে বাংলাদেশকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে। তিনি এ সময় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষিবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারাই বাংলাদেশকে বারবার পিছিয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ কৃষিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এ উন্নয়ন ধরে রেখে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে কৃষিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম ঘোষণা ছিল মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ। সেই ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমান সরকার মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে । মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়তে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।