ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে জ্বালানি নয় : হাইকোর্ট আদেশ

193

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফিটনেস নবায়নে সময় বেধে দেয়ার পর এ সংক্রান্ত বিআরটিএ’র প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে বিআরটিএ’র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মঈন ফিরোজী, রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী এটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
আইনজীবী মঈন ফিরোজী জানান, ফিটনেসবিহীন যত গাড়ি রাস্তায় চলছে তাদেরকে পেট্রোল স্টেশন থেকে গ্যাস-ফুয়েল সাপ্লাই বন্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রতিবেদনে বিআরটিএ জানায় হাইকোর্টের বেধে দেয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র ৮৯ হাজার ২৬৯ গাড়ি ফিটনেস নবায়ন করেছে।গত ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দু’মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে আদালতে দাখিল করা বিআরটিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৬১ হাজার ১১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮, রাজশাহী বিভাগে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ৫৬৮, খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেট বিভাগে ৪৪ হাজার ৮০৫ এবং বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩৩৮টি গাড়ি মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন রয়েছে।
গত ২৪ জুন আদালত ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। সে অনুসারে বিআরটিএ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয়। গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সংক্রান্ত দৈনিক ডেইলি স্টার গত ২৩ মার্চ একটি প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরের আনেন এডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
‘রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন-সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান বিআরটিএ, ঢাকার ডিসি ট্রাফিক (উত্তর ও দক্ষিণ), বিআরটিএ ডিরেক্টর (রোড নিরাপত্তা) ও দুদক চেয়ারম্যান।