বাসস ক্রীড়া-১৬ : পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে দেশে ফিরেছে জার্মানি

320

বাসস ক্রীড়া-১৬
ফুটবল-বিশ্বকাপ-জার্মানি
পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে দেশে ফিরেছে জার্মানি
ফ্রাঙ্কফুর্ট, ২৮ জুন ২০১৮ (বাসস/এএফপি) : পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে অনেকটা নিভৃতেই বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে জার্মানির জাতীয় ফুটবল দল। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই দল বিদায় নেয়ায় ফুটবল পাগল গোটা জাতিই এখন শোকে মুহ্যমান।
স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিশ্বকাপ দল বহনকারী বিমানটি। রাশিয়ার কাজানে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গেলে পরাজিত হওয়ার একদিন পর শূন্য হাতে দেশে ফিরতে বাধ্য হয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মান জাতীয় দল।
অফিসিয়াল টুইট বার্তায় জার্মান জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের পক্ষ থেকে যন্ত্রণাকাতর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। এতে বলা হয়, ‘প্রিয় সমর্থকবৃন্দ, আমরা আপনাদের হতাশ করেছি। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলতে পারিনি। এ জন্য দুঃখিত। এ কারণেই আমরা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছি।’
এর আগে ডিফেন্ডার ম্যাটস হুমেলসও অনুশোচনা করে টুইট করেছেন। যেখানে তিনি ‘দুঃখিত…’ লিখে একটি মলিন চেহারার প্রতিকিৃতি জুড়ে দিয়েছেন।
দলের এই ব্যর্থতার তথ্য তুলে ধরেছে জার্মানির গণমাধ্যম। ব্রাজিল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ১৯৩৮ সালের পর এই প্রথম গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। দেশটির সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা বিল্ড ডেইলিতে টনি ক্রুসের একটি হতাশাগ্রস্ত চেহারার ছবি ছাপিয়ে শিরোনাম করেছে, ‘নো ওয়ার্ডস’ (নির্বাক)।
মিররে শিরোনামে লেখা হয়েছে, গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল জার্মানি। কিন্তু এবার গোটা জাতিকেই বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে জার্মান দল।
মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের ‘লজ্জা’ নিয়ে ফিরেছে উল্লেখ করে বিল্ডে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের এই বিদায় নেয়াটা অবিসংবাদিত ছিলো। আমরা আবর্জনা ও ছাই-ভষ্মে পরিণত হয়েছি।’
রেনেসা পোস্ট এবং দ্যা তেগেসপিয়েগেলসহ অন্যান্য সংবাদপত্রে শিরোনাম করা হয়েছে শুধুমাত্র ‘আউট’ (বিদায়) লিখে। সুটটগার্টের জেইতাংয়ে শিরোনাম করা হয়েছে ‘ঐতিহাসিক ব্যর্থতা’।
বিল্ডের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ‘কিছুদিনের মধ্যে’ জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি) কোচ জোয়াচিম লোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। দায়িত্ব গ্রহণের পর ১২ বছরের মধ্যে এই প্রথম লো এমন একটি পরিণতির মুখে পড়তে যাচ্ছে।
দি ফ্রাঙ্কফুর্টার আলজেমেনি জেইতাংয়ের রিপোর্টে বলা হয়, শুধু মাত্র লো’র বিদায়ই জার্মানিকে ‘নতুন সূচনা’ এনে দিতে পারে। এটি খুবই দরকার। রক্ষণশীল ওই দৈনিকে আরো বলা হয়, ‘এটি পার্টি শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যাবার মতো ঘটনা। এখন জার্মান ফুটবল কর্তাদের যথাসময়ে বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে এবং যথানিয়মে প্রতিকার করতে হবে।’
জনপ্রিয় জার্মান ওয়েবসাইট কিকারে এটিকে বলা হয়েছে ‘সমষ্টিগত ব্যর্থতা।’ এতে বলা হয়, ‘রাশিয়ায় সত্যিকারের কোন দল ছিলো না।’ এফ গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচে মেক্সিকো ও সুইডেনের বিপক্ষেও জার্মানির পারফর্মেন্স ছিল নিষ্প্রভ। তাদের প্রতিবেদনে মাঠের লড়াইয়ে দলের কিছু তারকা খেলোয়াড়ের বাজে পারফর্মেন্সেরও সমালোচনা করা হয়।
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৯২০/-স্বব