লিগ্যাল এইড হেল্পলাইনে ৩৪ হাজার জনের আইনগত তথ্য সেবা গ্রহণ

354

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস): সরকারি আইনী সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন টোল ফ্রি নম্বর ১৬৪৩০ এর মাধ্যমে এক বছরে ৩৩ হাজার ৯’শ ৭৯ জন আইনগত তথ্য সেবা গ্রহণ করেছেন।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিনা খরচায় জাতীয় হেল্পলাইন টোল ফ্রি নম্বর ১৬৪৩০ এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণকারীর পরিসংখ্যান সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার ও বিকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ : ভিশন-২০২১’ ঘোষণা করেছেন। সরকারি সেবাসমূহ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত জণগণের কাছে নিয়ে আশাই এর মূল উদ্দেশ্য। উন্নয়নের জন্য তথ্য প্রযুক্তি বা ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে শুধু কম্পিউটার নয়, এ দেশের জনসংখ্যার এক বড় অংশের হাতে মোবাইল ফোন আছে, কাজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরকারি সেবার বার্তা দ্রুততম সময়ে জনগণের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা সম্ভব বলে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার কর্মকর্তা কাজী ইয়াসিন হাবিব বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে বলেন।
সরকারী আইনী সহায়তা সংস্থার সকল তথ্য এখন সংস্থাটির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ এপ্রিল-২০১৬-এ “সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন-১৬৪৩০”এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই উক্ত টোল ফ্রী ১৬৪৩০ হেল্পলাইন নম্বরে সারা দেশ হতে অসহায় ও সাধারণ মানুষ আইনী পরামর্শ ও তথ্যের জন্য ফোন কল করে যাচ্ছে। এ কলসেন্টার হতে বর্তমানে অফিস চলাকালীন সময়ে আইনগত পরামর্শ, তথ্য সেবা ও লিগ্যাল কাউন্সিলিং সেবাসমূহ দেয়া হচ্ছে যা অসহায় মানুষের আইনী অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর অবদান রাখছে। হেল্পলাইনের সেবাসমূহ হচ্ছে-আইনী পরামর্শ প্রদান, আইনগত তথ্য প্রদান, কাউন্সিলিং, মামলা/মোকদ্দমা করার প্রাথমিক তথ্য প্রদান, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কিত যে কোন পরামর্শ, অভিযোগ গ্রহণ (কর্তৃপক্ষকে অবগতকরণ)। এ হেল্পলাইনে যোগাযোগ তথা সেবা গ্রহণের মাধ্যম হলো- মোবইল, টেলিফোন, ম্যাসেজ, মোবইল এব্যাস্ এবং ফেইস বুক ম্যাসেঞ্জার। দিনে দিনে জাতীয় এ হেল্পলাইনে আইনগত তথ্য সেবা গ্রহণের হার বাড়ছে।
দেশের দরিদ্র ও অসর্থ জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনী সেবা নিশ্চিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০০ সালে আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু করে। পরে এই আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়। বিধিতে কারা আইনি সহায়তা পাবেন তা নির্ধারণ করা হয়। দেশের সবক’টি জেলা আদালত, চৌকি আদালত এবং সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড সার্ভিস চালু রয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনী সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্ণার’ বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।