সেঞ্চুরি বঞ্চিত ইমরুল; সমানতালে লড়ছে রাজশাহী-খুলনা

181

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ (বাসস) : প্রথম রাউন্ডে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ডাবল-সেঞ্চুরি করেছিলেন খুলনা বিভাগের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় রাউন্ডেও বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়ে ৯৩ রানে আউট হলেন ইমরুল। ইমরুলের সেঞ্চুরি মিসের দিন রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ২২৭ রান করেছে খুলনা বিভাগ। ফলে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৪ রানে পিছিয়ে খুলনা। প্রথম ইনিংসে ২৬১ রান করেছিলো রাজশাহী।
ডান-হাতি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের ৪ ও দুই পেসার রুবেল হোসেন-মুস্তাফিজুর রহমানের ২টি করে উইকেট শিকারে ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম স্তরের ম্যাচের প্রথম দিনই ২৬১ রানে অলআউট হয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৮৫ দশমিক ৩ ওভার ব্যাট করতে পারে রাজশাহী।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে খুলনা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে রাজশাহীর পেসার শফিউল ইসলামের বলে শূন্য রানে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ৫ বল খেলেন তিনি।
দলীয় ৭ রানে সৌম্যকে হারানোর ধাক্কাটা দ্রুতই ভুলিয়ে দেন আরেক ওপেনার এনামুল হক ও ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেটে ভালো একটি জুটি গড়ার পথেই ছিলেন তারা। কিন্তু ২৫তম ওভারের প্রথম বলে রাজশাহীর স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন এনামুল। ৩৪ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুলের সঙ্গে যোগ করেন ৭৫ রান।
এনামুলের বিদায়ে ক্রিজে ইমরুলের সঙ্গী হন তুষার ইমরান। এই জুটিও বড় স্কোর গড়ার পথেই ছিলেন। এতে দলের স্কোর শতরান পেরিয়ে দেড়শ’ও অতিক্রম করে। কিন্তু নাভার্স নাইন্টিতে দুভার্গ্যের শিকার হন ইমরুল। তুষারের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন ইমরুল। ১০টি চারে ১৯০ বলে ৯৩ রান করেন তিনি। প্রথম রাউন্ডে অপরাজিত ২০২ রান করা ইমরুল এবার তুষারের সাথে ৮৫ রান এনে দেন দলকে।
দলীয় ১৬৭ রানে ইমরুলের আউটের পর দ্রুতই ৩ ব্যাটসম্যানকে হারায় খুলনা। তুষার ৪৩, মোহাম্মদ মিথুন ৪ ও মিরাজ ৫ রান করে ফিরেন। ফলে ২০৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। পরবর্তীতে দলের উপর আর চাপ বাড়তে দেননি উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। নুরুল ৩৫ ও রাজ্জাক ৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেন। রাজশাহীর শফিউল-তাইজুল ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রাজশাহী বিভাগ : ২৬১/১০, ৮৫.৩ ওভার (জুনায়েদ ৫১, ফরহাদ ৪৫, মিরাজ ৪/৩৮)।
খুলনা বিভাগ : ২২৭/৬, ৯০ ওভার (ইমরুল ৯৩, তুষার ৪৩, শফিউল ২/৫৫)।