ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ‘পাক্ষিক অনন্যা’র সাবেক নির্বাহী সম্পাদক দিল মনোয়ারা মনু আর নেই।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তিনি রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
দিল মনোয়ারা মনুর পারিবারিক সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনু বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
নারী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগমের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি। নারী আন্দোলনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ-আন্দোলনের অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন।
দিল মনোয়ারা নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৯৫০ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। ইডেন কলেজে পড়াশোনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। ১৯৭৪ সালে ‘বেগম’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি যোগ দেন ‘পাক্ষিক অনন্যা’য়। ২৫ বছর ‘অনন্যা’য় থাকার সময় তিনি নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
দিল মনোয়ারা মনুর স্বামী শামসুল হুদা ভূমি অধিকার ও সংস্কার বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক।
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিমুন আরা হক মিনু বাসসকে জানান, লালমাটিয়ার বিবির মসজিদে বাদ জোহর প্রথম এবং জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে দিল মনোয়ারা মনুর লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিমুন আরা হক মিনু ও সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা পাক্ষিক ‘অনন্যা’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও নারী সাংবাদিক নেতা দিল মনোয়ারা মনুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।