ব্রিটিশ বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান শিল্পমন্ত্রীর

427

ঢাকা, ১১ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : যুক্তরাজ্যে সফররত শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পখাতে বিনিয়োগ করার জন্য ব্রিটিশ বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ বার্মিংহামের নিউ বিংলে হল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘তৃতীয় বিট্রিশ বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ আহবান জানান।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিট্রিশ বাংলাদেশিদের সংগঠন দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশের শিল্পখাতে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্র বন্দর ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ ব্যাপকহারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এর ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সিটি মেয়র, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যসহ যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্প উদ্যোক্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ সহস্রাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
নূরুল মজিদ হুমায়ূন বলেন, সরকারের নীতি সহায়তার ফলে দেশের শিল্পখাত ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং, ওষুধ, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাইসাইকেল ও সফ্টওয়্যার উন্নয়ন শিল্প ইতোমধ্যে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শিল্পে পরিণত হয়েছে।
বেসরকারিখাত বিকাশের পাশাপাশি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানা লাভজনক করতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলেও তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বেসরকারিখাত বিকাশের পাশাপাশি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার উন্নয়নেও কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারিখাতে চিনিকল, সার, নিউজপ্রিন্ট, সিমেন্ট, গ্লাস, স্টিল, ক্যাবল, মোটর সাইকেল ও গাড়ি সংযোজন, ডিস্টিলারিসহ বেশকিছু শিল্প কারখানা পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন,এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও পণ্য বৈচিত্রকরণের জন্য আধুনিকায়ন ও অটোমেশন জরুরি। ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের এসব কারখানায় যৌথ কিংবা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। এক্ষেত্রে উভয় দেশই লাভবান হবে বলেও মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিভিন্ন অর্জন এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিতে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে এই পুরস্কার চালু করা হয়। দেশ ফাউন্ডেশন-ইউকে নিয়মিত এর আয়োজন করে আসছে।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিল্পমন্ত্রী গত ৯ অক্টোবর লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। আগামী ১৩ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা।