দুটি পানি শোধনাগারের উদ্বোধন ও আরেকটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

760

ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৬০ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সক্ষম পদ্মা (জশলদিয়া) ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (পর্যায়-১) এবং সাভার উপজেলায় তেতুলঝরা-ভাকুর্তা ওয়েল কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট (পর্যায়-১) উদ্বোধন করেছেন।
এছাড়াও তিনি ৬০ কোটি লিটার পানি শোধনে সক্ষম নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অপর একটি প্রকল্প গান্ধাপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
তিনি নগরীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এই তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় স্থাপিত পদ্মা (জশলদিয়া) ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করবে এবং সাভার উপজেলায় স্থাপিত তেতুলঝরা-ভাকুর্তা ওয়েল ফিল্ড প্লান্ট (পর্যায়-১) ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করবে।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গান্ধাপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ সম্পন্ন হলে ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ পাওয়া যাবে।
ঢাকা নগরবাসীর ক্রমবর্ধমান খাবার পানির চাহিদা মেটাতে এসব প্লান্ট নির্মিত হচ্ছে।
প্লান্টে পদ্মা নদীর পানি শোধন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হবে।
পদ্মা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অন্যান্য এলাকার চেয়ে পানি সরবরাহ সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কাছাকাছি সাভার থেকে প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের জন্য ঢাকা ওয়াসা ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তেতুলঝরা-ভাকুর্তা ওয়েল ফিল্ড-প্লান্ট বাস্তবায়ন করছে।
সাভারে তেতুলঝরা-ভাকুর্তা ‘ওয়েল ফিল্ড কনস্ট্রাকশন প্রকল্পে (পর্যায়-১)’ ৪৬টি উৎপাদন কূপ এবং ৪৮ কিলোমিটার সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে মিরপুরে পানি সরবরাহ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার প্লান্ট প্রকল্পের অধীনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গান্ধাপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই প্রকল্পে প্রায় ৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এখানে মেঘনা নদী থেকে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি শোধন করা হবে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ফ্রেন্স ডেভলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি), ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
পানির ২২ শতাংশের উৎস ভূ-উপরিস্থিত এবং ৭৮ শতাংশ উৎস ভূ-গর্ভস্থ। দ্রুত বিকাশমান ঢাকা নগরীতে ভূ-গর্ভস্থ পানির সরবরাহ দ্রুত কমে আসছে যা নগরীর ১১ মিলিয়ন অধিবাসীর পানির প্রধান উৎস।
অনুষ্ঠানে তিনটি প্রকল্পের বিবরণ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং-ইল, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বক্তব্য রাখেন।
রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা মেটাতে ঢাকা ওয়াসার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরে অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।