আরো দুই-তিনদিন বৃষ্টি ও বজ্রপাতের প্রবণতা থাকবে

365

ঢাকা, ৭ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : আগামী দুই-তিনদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান আজ বাসস’কে জানান, ‘আগামী দুই-তিনদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এরপর আবহাওয়া পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হলেও এক সপ্তাহ জুড়ে সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে আগামী ২/৩দিনে দেশের কোথাও মানুষের জনজীবন বিপন্ন হওয়ার মতো ভারী বর্ষণ বা বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই।’
তিনি জানান, আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে আকাশে মেঘলা ও গুমুটভাব থাকবে। বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।
আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাতিয়ায় ১৪ মিলিমিটার, খুলনায় ৮ মিলিমিটার, সাতক্ষীরায় ৫ মিলিমিটার এবং শ্রীমঙ্গলে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গা এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ৪০ মিনিটে এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ৫ টা ৫৩ মিনিটে।
আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।