বাসস দেশ-১৮ : অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে : স্পিকার

514

বাসস দেশ-১৮
পূজা-সম্মাননা প্রদান
অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে : স্পিকার
ঢাকা, ৪ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের সম্প্রীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। যেখানে ধর্মহীনতা নয় ধর্মনিরপেক্ষতাই হলো মূল ভিত্তি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বনানী মাঠে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক দুর্গোৎসব আয়োজনের দ্বাদশ বর্ষ পূর্তি ও শারদোৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি পূজা উদযাপন পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত “বোধন” স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য আনন্দের এক মিলনমেলা। সকল ধর্মই সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের কথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি মানুষকেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
স্পিকার বলেন, সাম্যের ভিত্তিতে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। শারদীয় দুর্গোৎসব আবহমানকাল ধরে বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে। দুর্গাপূজা আমাদের আপন সংস্কৃতিতে হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের সাক্ষ্যবহন করে চলেছে। সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। যেখান থেকে উঠে আসবে সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ আর একতা।
গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ড. বীরেন শিকদার এমপি, আকবর হোসেন পাঠান এমপি ও ভারতীয় হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার শ্রী বিশ্বজিৎ দে।
পরে তিনি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। এর আগে দেশের বিশিষ্ট ১২ জন গুণিজনের হাতে তিনি শারদীয় সম্প্রীতি সম্মাননা ১৪২৬ তুলে দেন।
সম্মননা প্রাপ্তদের মধ্যে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত (মরণোত্তর) শিল্পী সুবীর নন্দী (মরণোত্তর) মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার চিত্ত রঞ্জন দত্ত (মরণোত্তর), এমিরেটস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, লেখক শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, চিকিৎসক ডা. সামন্তলাল সেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল,চিত্র শিল্পী হাসেম খান ও সাংবাদিক আবেদ খান। পরে স্পিকার মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাসস/সবি/এমএআর/২৩৫০/-এবিএইচ