পদ্মা সেতু চালু হলে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে : অর্থমন্ত্রী

514

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন,পদ্মাসেতু,কর্ণফুলি টানেল কিংবা মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রকল্প আমাদের স্বপ্ন। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়ে যাবে। কেবল পদ্মা সেতু থেকেই এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেশি হবে।
সোমবার শেরেবাংলানগর পরিকল্পনা কমিশনে নিজ দফতরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংকের সঙ্গে বৈঠকশেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি করছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন,চলতি অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি,যা ২০২৪ সালে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের রফতানি আয় অতি দ্রুত বাড়ছে,এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এ ক্ষেত্রে অগ্রসরমাণ অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
তিনি আরো বলেন,সব মিলিয়ে বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন ৪২তম বড় রফতানিকারক দেশ। অন্যদিকে আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। তাই বলতে পারি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত সুন্দর এবং অপার সম্ভাবনার দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সব চেয়ে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশ আমাদের। দেশকে এগিয়ে নিতে বিদেশি বিনিয়োগের গুরুত্ব অপরিসীম বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জলবায়ু পরির্তনজনিত সমস্যা বাংলাদেশের জন্য মারাত্বক হুমকি উল্লেখ করে কামাল বলেন, অথচ এই সমস্যার জন্য আমরা দায়ী নয়,আমরা কার্বন নিঃস্বরণ করি না। ভারত,চীনসহ কয়েকটি দেশ কার্বন নিঃস্বরন করে অথচ এর ভূক্তভোগি আমরা।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইইউ বিশ্বাস করে রোহিঙ্গাদের জন্মস্থান রাখাইন স্টেটে তাদের চলে যেতে হবে।এই বিষয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে তারা। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যেতে ইইউ কাজ করবে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন,উন্নয়ন প্রকল্পের বিচ্যুতি ও অপচয় কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। পদ্মাসেতু, মাটির নীচের টানেল ও মেট্রোরেলের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতাও আমাদের ছিল না। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে এটা কম হয়।আস্তে আস্তে আমরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবো। তখন প্রকল্পের অপচয় একেবারেই কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।