বাসস সংসদ-৭ : বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান মোহাম্মদ নাসিমের

721

বাসস সংসদ-৭
বাজেট-আলোচনা
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান মোহাম্মদ নাসিমের
সংসদ ভবন, ২৬ জুন, ২০১৮ (বাসস) : প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অতীতের মতো ভুল করলে জনগণ লাল কার্ড দেখিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে বের করে দিবে।
তিনি বলেন, ‘এবার ট্রেন মিস করবেন না, করলে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবেন। এতো ভয় কেন, আসুন নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। যে গোল দিবে সে জিতবে। রেফারি থাকবে নির্বাচন কমিশন।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে অধিবেশনের শুরুতে মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা-উত্তর টেবিলে উপস্থাপন শেষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
গত ৭ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট আলোচনার নবম দিনে আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, সরকারি দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আ ফ ম রুহুল হক, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাবের হোসেন চৌধুরী, আব্দুল মতিন খসরু, তালুকদার মো. ইউনুস, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মোল্যা, ইমরান আহমদ, বজলুল হক হারুন, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, রেজাউল হক চৌধুরী, সাধন চন্দ্র মজুমদার, মো. জিল্লুল হাকিম, হাসিবুর রহমান স্বপন, মোরশেদ আলম, মিজানুর রহমান, সাবিহা নাহার বেগম, সৈয়দা সায়রা মহসিন, আয়েন উদ্দিন, মো. আবদুল্লাহ, বেগম কামরুল লায়লা জলি, মজিবুর রহমান চৌধুরী, নিজামুদ্দিন হাজারী, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, শওকত চৌধুরী, বেগম মাহজাবিন মোরশেদ, শাহানারা বেগম ও তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী অংশ নেন।
বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গত সাড়ে ৯ বছরে যে কাজ করেছে আর কেউ তা করতে পারেনি। স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক ছাড়াও ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হেলথ কমপ্লেক্স উন্নত চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়সহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা অথবা সম্প্রসারণ করে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা অনেকটা নিশ্চিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় সুখবর হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরে বিশ্বের অন্যতম সেরা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ সেরা চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি স্বাস্থ্য খাতে গত সাড়ে ৯ বছরের অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মেডিকেল জার্নাল লেন্সসেটের গবেষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫২তম। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানের চেয়ে এগিয়ে। শেখ হাসিনার মতো বিশ্ব নেতার যোগ্য ও দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের অপ্রতুলতা পূরণ করতে আগামী নির্বাচনের আগেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে আরো ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে আরো ৯ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি আগামী নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, গত সাড়ে ৯ বছরের সূচিত অভূতপূর্ব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে অবশ্যই আবারো শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার কোন বিকল্প নেই। দেশে যেমন গণতন্ত্র দরকার তেমন উন্নয়নও দরকার। উন্নয়নহীন গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারেনা। ফলে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনে জনগণ অবশ্যই আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটকে বিজয়ী করবে। জনগণ যদি ভুল করে তাহলে দেশ আবার অন্ধকারের অতল গহবরে নিমজ্জিত হবে। দেশে পুনরুজ্জীবিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে টিকিয়ে রাখতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে অবশ্য বিজয়ী করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের সংসদীয় পদ্ধতির অন্যান্য দেশেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশেও হবে। আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যেতে পারে না এবং যাবে না।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাজেটকে বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময়ে উন্নয়নের নামে জনগণ খাম্বা পেয়েছে। তাদের সময় দেশে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নেয়ার সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। নানা ধরনের ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেলসহ ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে চলমান প্রকল্পগুলো শতভাগ বাস্তবায়ন হবে।
তিনি ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা চিহ্নিত করে তা নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর আহবান জানিয়ে বলেন, খেলাপী ঋণের হার কমাতে হবে। ঋণের টাকা আদায় করতে হবে। অন্যথায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদের হারের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমতা আনতে হবে। একই ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামীতে ষড়যন্ত্রকারী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় স্বাধীনতার পক্ষ শক্তিকেই থাকতে হবে। তিনি বলেন, এ দেশের যদি কেউ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে, তা করেছে জিয়াউর রহমান। সে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে পাকিস্তানী ধারায় বাংলাদেশ চালাতে চেয়েছে। দলের শত শত নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি করে সেই ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। হাওয়া ভবনে বসে ষড়যন্ত্র করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাসহ নেতা-কর্মীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি খালেদা জিয়াকে গ্রেনেড হামলা-মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী করাসহ পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলা দায়ের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা তাদের গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতির ধারাটি উঠিয়ে দিয়েছে। পৃথিবীর কোন দুর্নীতিবাজ দল রাজনীতিতে থাকতে পারে না। নির্বাচন কমিশন এ কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, অর্থমন্ত্রী এবার বাজেট প্রণয়নে সংসদীয় কমিটি, সামাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। ফলে তার এবারের বাজেটে সকল মহলের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৯ বছরে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন করেছে তা বিশ্বের কাছে এক বিষ্ময় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এদেশের আর্থ-সামজিক অগ্রযাত্রা সারা বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সফরে বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার কাছে বিষ্ময়ের সাথে জানতে চান, এতো দ্রুত এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জিডিপির ভিত্তিতে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৩তম বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ। আর ক্রয় ক্ষমতার সমতার ভিত্তিতে আমাদের অবস্থান ৩২তম। ২০১৭ সালে দ্রুততর প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। প্রাইজ ওয়াটার মুভ কুপার্সের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮তম অর্থনীতির দেশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে হবে ২৩তম অর্থনীতির দেশ। বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু’র সাম্প্রতিক এক রচনায় বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্জনকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ও অপ্রত্যাশিত বলে অভিহিত করেছেন। তার লেখায় বাংলাদেশের এমন অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে এদেশের নারীর ক্ষমতায়নকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে উন্নয়ন দর্শন পেয়েছেন। তাঁর পিতার দর্শনের সাথে প্রযুক্তি দর্শনকে যুক্ত করেছেন। এই প্রযুক্তির দ্বারা দেশের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতের আর কোন সরকারের সময়ে এতো উন্নয়ন হয়নি। বিগত ৯ বছরে প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে কমপক্ষে ৩শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। এখন লাখে ১ জন মানুষ পাওয়া যাবে না, যে না খেয়ে মারা গেছে।
শিক্ষা খাতে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে ৬৮ হাজার গ্রামের মধ্যে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ছেলে এবং মেয়ে এখন সমানে সমান। এখানেও লিঙ্গ সমতা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার মান অনেক বেড়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশের ৬৫ হাজার ক্লাসরুম দেয়ার জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী ৪ বছরে তা বাস্তবায়ন হবে। চলতি বছরের মধ্যেই দেশের সকল ঝরাজীর্ণ স্কুল ভবন মেরামত করা হবে।
শেখ হাসিনার মতো দক্ষ নেতৃত্বের হাতে দেশ থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে উল্লেখ করে সরকারি দলের সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ উন্নয়ন টেকসই করতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিক-নির্দেশনায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। লাইসেন্স দেয়ার আগে একজন চালককে ট্রাফিক আইনগুলোর ওপর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই লাইসেন্স দেয়ার জন্য তিনি সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তি ক্ষমতায় থাকতে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। তারা বারবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। এরা এখনো তৎপর রয়েছে। এই চক্রটি দেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কানাডার ফেডারেল কোর্ট এই দলটিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে রায় দিয়েছে। এই সন্ত্রাসী দলের কর্মকান্ডের ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে তিনি আহবান জানান।
বাসস/এমআর/এমএসএইচ/২৩৫২/বেউ/-আসচৌ