স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আর কখনো ক্ষমতায় আসবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

444

ঢাকা, ২৬ জুন, ২০১৮ (বাসস) : নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছে তা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
আজ রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান,স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আর কখনো ক্ষমতায় আসবে না। ঘাতকদের মূল উৎপাটন না করা পর্যন্ত ঘৃনিত এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শেষ হবে না। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে আরো জোরালো ভূমিকা রেখে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
‘বিএনপি ও জামায়াতের অপশক্তিকে ছাড় দিলে বাংলাদেশ আবারো অন্ধকারে তলিয়ে যাবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী এইসব ঘৃনিত শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে বর্তমান সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। এদের সমূলে উৎপাটনের জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ সরকারকে আবারও বিজয়ী করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দু:শাসনের সময়ে জাহানারা ইমাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘাতকদের নির্মূলে প্রতীকী বিচারের ডাক দিয়েছিলেন। সেসময় অনেক বাধা প্রতিহত করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সারাদেশের মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জাহানারা ইমাম এর মধ্য দিয়ে বাঙালীর হারিয়ে যাওয়া চেতনা ফিরিয়ে এনেছিলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, রিসার্চ ইনিসিয়েটিভ বাংলাদেশে এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা এবং কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়–য়া।
শাহরিয়ার কবির বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মকে ব্যবহার করে যারা মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে তাদের ক্ষমা নেই। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এ আন্দোলন চলবেই।
পরে, কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
শহীদ জননী জাহারারা ইমাম ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুবার্ষির্কী উপলক্ষে প্রতিবছর কেন্দ্রীয়ভাবে ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’,আলোচনা সভা এবং ‘জাহানারা উমাম স্মৃতিপদক’ প্রদানের আয়োজন করা হয়।