পার্বত্য তিন জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৮,৫২,৫৪০ এবং বাঙালি ৭,৬১,৪৪৯ জন : বীর বাহাদুর

248

সংসদ ভবন, ২৬ জুন, ২০১৮ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊ শৈ সিং বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলায় ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৯ জনসংখ্যার মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫২ হাজার ৫৪০ এবং বাঙালির সংখ্যা ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৯ জন রয়েছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে তিন পার্বত্য জেলার জনসংখ্যার এ তথ্য জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, যোগ্য নেতৃত্ব আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘ দু’যুগ ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত অবসানের মাধ্যমে সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের নবদিগন্ত সূচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সহাবস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষা অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ লক্ষ্যে পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের বিদ্যালয়ে গমন শতভাগ নিশ্চিত করা হচ্ছে। ২২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হার বৃদ্ধি ও ঝরে পড়ার হার হ্রাস পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শান্তি চুক্তির পর বিভিন্ন ধরনের ১৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে সরকার ১টি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে, এর কার্যক্রম ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে। এছাড়াও রাঙ্গামাটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে, যা ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বীর বাহাদুর বলেন, ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী ও এক ছাদের নিচে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ৪ হাজার পাড়াকেন্দ্র (রাঙ্গামাটিতে ১ হাজার ৪৯২টি, বান্দরবানে ১ হাজার ৭৫টি ও খাগড়াছড়িতে ১ হাজার ৪৩৩টি) স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের এ সকল গৃহীত পদক্ষেপের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার ভৌত অবকাঠামো যোগাযোগ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ফলে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের নবদিগন্ত সূচিত হয়েছে।