বাসস দেশ-১৩ : রংপুরে ইউনিসেফ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান

231

বাসস দেশ-১৩
ইউনিসেফ-শিশু সনদ
রংপুরে ইউনিসেফ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান
রংপুর, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পুর্তি উপলক্ষে ইউনিসেফ রংপুর ফিল্ড অফিস আজ শুক্রবার শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের সাথে নগরীর আরডিআরএস বাংলাদেশ এর বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে শিশুদের জন্য এক ফোরাম আলোচনার আয়োজন করে।
রংপুরের ছয়টি সংসদীয় আসন এলাকা থেকে আসা শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের সাথে আয়োজিত এ আলোচনার প্রতিবেদন পরবর্তীতে ‘পার্লামেন্টারী ককাস অন চাইল্ড রাইটস’ এর কাছে দাখিল করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রধান নাজিবুল্লাহ হামীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ জাকির হোসেন এবং বাংলাদেশ বেতারের রংপুর কেন্দ্রের এর আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ হারুন-উর-রশিদ।
স্বাগত বক্তব্যে ইউনিসেফ প্রতিনিধি নাজিবুল্লাহ হামীম বলেন, ত্রিশ বছর আগে যে প্রথম কয়েকটি দেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ স্বাক্ষর করেছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
তিনি শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে তাদের জীবন মান উন্নয়নে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানান।
প্রধান অতিথি মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা শিশু অধিকার বাস্তবায়নে অভিভাবক সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের এগিয়ে আসার ওপর গুরুত্ব দেন।
উপস্থিত শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের সাথে অতিথিদের সাথে প্রাণবন্ত মতবিনিময় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কিশোর-কিশোরীরা দারিদ্র্য, মেয়ে শিশুর নিরাপত্তাহীনতা, বাল্যবিয়ের আধিক্য, শিক্ষাদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব, অভিভাবকদের শিক্ষার গুরুত্ব না বোঝাকে ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
ঝরে পড়া রোধে শিশু বান্ধব শিক্ষা ও সচেতনতা মূলক কর্মসূচি জোরদার করা, উপবৃত্তির আওতা বাড়ানো, ঝরে পড়া শিশুর অভিভাবকদের আয়বর্ধক কাজে নিয়োগে সহায়তা করা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের প্রতি তারা দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
রংপুরের সব ক’টি সংসদীয় আসন থেকে আসা শিশু, কিশোর ও কিশোরীরা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, শিশু শ্রম বন্ধ, কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা এবং কিশোর- কিশোরীদের দক্ষতা বৃদ্ধি সহ শিক্ষার মান উন্নয়নে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর ১৯১টি রাষ্ট্র কর্তৃক অনুসমর্থিত হয়ে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ সবসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
বাসস/এমআই/২০১৫/-আসচৌ