শিক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চসিক : মেয়র নাছির

357

চট্টগ্রাম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করতে শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চসিক। চট্টগ্রাম নগরে ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ এশিয়ার আর কোন সিটি কর্পোরেশন শিক্ষা খাতে এরকম ভূমিকা পালন করেনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যরক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিক্ষা বিভাগ এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলবো, চসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার মান আগের চেয়ে ভালো। সামনের দিনগুলোতে মান আরও বাড়বে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভারপ্রাপ্তমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছি। যদিও অনেকে না বুঝে উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা করেন। আমি সবাইকে উদার নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে কাজ পর্যবেক্ষণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯০টিতে উন্নীত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান না থাকলে নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ পাওয়া নিয়ে সন্দেহ সংশয় থেকে যেত। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় শিক্ষাখাতে চসিককে ৪৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হতো। নানা পরিকল্পনার কারণে এটা কমিয়ে এখন ভর্তুকি দিতে হয় ৩৬ কোটি টাকা।’
এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, গিয়াস উদ্দিন, মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, চসিকের পরিচালনায় ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৩টি কলেজ, ১টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, ৫টি কম্পিউটার ক্যাম্পাস, ৭টি কিন্ডারগার্টেন, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫০টি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, ৯টি মসজিদ, ৪টি সংস্কৃত টোল, ১টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১টি গণশিক্ষা কেন্দ্র, ১টি থিয়েটার ইনস্টিটিউট ও ১টি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে।
চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলেজে ২০ হাজার ৩৩০ জন, মাধ্যমিকে ৩৭ হাজার ৭০০ জন, প্রাথমিক ও কেজিতে ৪ হাজার ৯৫০ জন পড়াশোনা করছে। ১ হাজার ৮৭ জন স্থায়ী ও ৬৪১ জন অস্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন।