ওজোনস্তর রক্ষায় সরকারের গৃহীত কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : প্রধানমন্ত্রী

259

ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওজোনস্তর রক্ষায় বর্তমান সরকারের গৃহীত কার্যক্রম জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফলে দেশে উৎপাদিত পণ্য পরিবেশবান্ধব ও মানসম্মত হচ্ছে।
আগামীকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস উপলক্ষে আজ রোববার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘মন্ট্রিল প্রটোকল : ওজোনস্তর সুরক্ষার ৩২ বছর’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওজোনস্তর ক্ষয় ও তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার ক্ষেত্রে বিশ্ব ওজোন দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিবেশবান্ধব বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় মন্ট্রিল প্রটোকল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ ও ওজোনস্তর সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৭ সালে গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় ২৯তম কার্যনির্বাহী বোর্ডে প্রশংসা অর্জন করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পরিবেশ উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৯, ওজোনস্তর ক্ষয়কারী গ্রিন হাউজ গ্যাসের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ/পরিহার করতে জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮ প্রণয়ন করেছে এবং বিশুদ্ধ বায়ু আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে। ২০০৯-২০১৬ পর্যন্ত কার্বন জরিপ (২৫৬ মেগাটন) সম্পন্ন হয়েছে। গত তিন বছরে ১০ হাজার ৬০৬ হেক্টর ব¬ন, ৮ হাজার ৯৯১ হেক্টর ম্যানগ্রোভ, ৪ হাজার ৯৩৭ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশও এ প্রটোকল বাস্তবায়নের অভাবনীয় সাফল্যের গর্বিত অংশীদার। আমাদের সরকারই ১৯৯৭ সালে বায়ু দূষণ ও ওজোনস্তর ক্ষতিকারক গ্যাসের উৎপাদন ও ব্যবহার রোধে বায়ুর মানমাত্রা নির্ধারণ করে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তাছাড়া, পরিবেশ আদালত আইন ২০১০, বিপদজনক জাহাজ ভাঙার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১ এবং ২০১৪ সালে একটি সংশোধিত ও পরিমার্জিত ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত তিন দশকের প্রচেষ্টায় ওজোনস্তর পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে শুরু করেছে। ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হওয়ার পর বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহ ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বন্ধ করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া, এ প্রটোকলের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব হচ্ছে।’
বাণীতে তিনি বাংলাদেশে প্রতি বছরের মতো এবছরও ‘আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং সংশি¬ষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।