লালমনিহাটের আদিতমারীতে আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

537

লালমনিরহাট, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (বাসস): জেলার আদিতমারী উপজেলার কৃষকরা একটু বেশি লাভের আশায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বাজারের চাহিদা বিবেচনায় রেখে আগাম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। ইতিমধ্যেই কৃষকরা লাউ শাক, লাউ, লালশাক, বেগুন, শিম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, টমেটো ও শশাসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ শুরু করেছেন। আর কিছুদিন পর এসব সবজি বাজারজাত করবেন এমনটাই আশা এখানকার কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে উঠবে শীতকালীন শাকসবজি। বেশি লাভ ও বাম্পার ফলন হবে এমনটাই প্রত্যাশা চাষি ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ৯৬৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তার চেয়ে বেশি একহাজার ৬৮ হেক্টর জমিতে তা চাষ হচ্ছে। সবজি এলাকা হিসেব খ্যাত উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে কমলাবাড়ী, ভেলাবাড়ী ও সারপুকুর ইউনিয়নে সবজি উৎপাদন বেশী হয়ে থাকে। এর মধ্যে কমলাবাড়ী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সবজির চাষাবাদ করা হয়।
সারপুকুর ইউনিয়নের বিভারটারী এলাকার চাষি আব্দুল করিম জানান, তিনি ২৭ শতক জমি লিজ নিয়েছেন বছরে ১৫ হাজার টাকায়। সেই জমির প্রায় ১৫ শতাংশ জমিতে লাউ শাক চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে লাউ শাক বিক্রি হলে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ করবেন তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কমলাবাড়ী ইউনিয়নের বড় কমলাবাড়ী দেওয়ানীপাড়া এলাকার কৃষক রুহুল আমীন জানান, শীতের শুরুতে শীতকালীন সবজি বাজারে তুলতে পারলে দাম ভালো পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাজারে চাহিদা থাকার কারনে তিনি এ বছর শীতকালীন সবজি হিসেবে ২৭ শতক জমিতে শিমের বাগান এবং বাকি ২৭ শতক জমিতে বেগুনের চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে শিমের গাছে ফুল ধরেছে অন্যদিকে বেগুন গাছেও ফুল এসেছে। আগামি দু’এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি এসব আগাম সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষক জহুর উদ্দিন জানান, বেগুন আর শিম চাষ করে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজারে সবজির চাহিদা থাকলে তিনি সেখান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলিনুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হবে। পাশাপাশি, শীতের শুরুতে শীতকালীন সবজি বাজারে এলে কৃষকরা ভালো দাম ভালো পাবেন।