শহীদ যায়ান চৌধুরীর নামে খেলার মাঠের নামকরণ

215

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী বোমা হামলায় শহীদ যায়ান চৌধুরীর নামে রাজধানীর বনানীতে একটি খেলার মাঠের নামকরণ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আজ বনানী ১ নম্বর সড়কে এ খেলার মাঠ উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মেয়র বলেন, ‘বনানীর এই মাঠটি শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী বোমা হামলায় নিহত যায়ান চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। যায়ান এলাকার অন্য শিশুদের সাথে এ মাঠে খেলতো। তার মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মাঠটি তার নামে রাখা হয়েছে। এ নামকরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ।’
তিনি বলেন, যায়ান চৌধুরীর মতো আর কাউকে যেন প্রাণ দিতে না হয় এবং একটি সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ যেন গড়তে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, যে দেশ গড়ায় বঙ্গবন্ধু প্রাণ দিয়েছেন সে দেশে আমরা ময়লা-আবর্জনা ফেলতে পারি না। সুনাগরিক হিসেবে সকলে নিজ-নিজ দায়িত্ব পালন করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।
ডিএনসিসির পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে এ মাঠটি সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, নগরবাসীর খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং বিনোদনের জন্য ডিএনসিসির ২৬টি পার্ক ও খেলার মাঠের সংস্কার কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে ৪টি পার্কের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে।
অনুষ্ঠানে শহীদ যায়ান চৌধুরীর নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বাড়াবাড়ির কারণে যায়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিনি যায়ান চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার জন্য প্রার্থনা করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স এস এম কনস্ট্রাকশন’ উন্নয়ন কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায়। চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছর ১ মার্চের মধ্যে ২ দশমিক ৪৮ একর আয়তনের এ মাঠটির উন্নয়ন কাজ শেষ হবে। এতে ব্যয় হবে ৫ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার ১৭০ টাকা।
উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে এতে আন্তর্জাতিক মানের উপকরণ ও প্রযুক্তি দ্বারা নির্মিত খেলার মাঠ ও ক্রিকেট পিচ; মনোরম ও আধুনিক উপকরণ দিয়ে নির্মিত ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল ওয়াক-ওয়ে, এলাস্টোপেভ ওয়াক-ওয়ে; শিশুদের জন্য আলাদা প্লেয়িং জোন, পাবলিক টয়লেট, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা চেঞ্জিং রুম, বসার বেঞ্চ, ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস ব্যবস্থা, মাঠের চারপাশে মনোরম ও সৌন্দর্যবর্ধক বাউন্ডারি ফেন্সিং ও গ্রিন বেল্ট ইত্যাদি থাকবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ,স্থপতি ইকবাল হাবিব উপস্থিত ছিলেন।