সংসদ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

807

সংসদ ভবন, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদ দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে। কেননা এটি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে তাঁর সমাপনী ভাষণে বলেন, ‘এই জাতীয় সংসদ ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সংসদ সবসময়ই জনগণের কথা বলে এবং আমরা তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
সংসদ নেতা বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছেন। এই সংসদে দাঁড়িয়ে আমরা সবসময় জনগণের কথা বলি। আর সেজন্যই আমরা তাদের সেবা করার জন্য বার বার নির্বাচিত হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল দশম জাতীয় সংসদে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে এবং একাদশ জাতীয় সংসদেও তারা একই ভূমিকা পালন করছে।
সংসদে চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি এজন্য সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

দেশে সকলের জন্য কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে তাঁর সরকারের উদ্যোগসমূহের আলোকে সংসদ নেতা বলেন, যার যে কাজ সে যেন তা করতে পারে আমরা সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। দুর্নীতিমুক্ত জনবল নিয়োগ করায় পুলিশ বাহিনী আজ সাধুবাদ পাচ্ছে। এটা অতীতে কখনও হয়নি।
তিনি বলেন, প্রত্যেকে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে বলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে এবং আমি বিশ্বাস করি ইনশাল্লাহ আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকবে। দেশকে আমরা যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যেমন রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা অবাধ করে দিয়েছি সকলের জন্য, তেমনি অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে কাজ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, দেশকে স্বাবলম্বী করে তুলছি।
তিনি বলেন, আজকে আর বাজেট দেয়ার জন্য আমাদের কারো কাছে হাত পাততে হয় না। নিজেদের অর্থে বাজেট দিতে পারছি এবং বাজেট আমরা ৫ গুন বৃদ্ধি করেছি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির মাধ্যমে দেশের তৃণমূলের মানুষকে আমরা দারিদ্র মুক্ত করার যে উদ্যোগ নিয়েছি তার সুফল গ্রামের মানুষ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং দেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্যদের বলবো নিজ নিজ এলাকায় আমাদের মন্ত্রণালয়ের যে প্রকল্প ও উন্নয়নের কাজ দেয়া হয়েছে, সেখানে প্রত্যেকে এলাকার কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কি না সেদিকে নজর দিতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনাদের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং দেশের উন্নয়নও ত্বরান্বিত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, এদেশের মানুষইতো ভোটার। কাজেই তাদের সকল ধরনের মঙ্গল করা প্রত্যেক সংসদ সদস্যের দায়িত্ব।’
ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁর সরকার বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগ সৃষ্টিকারি এডিস মশাকে স্টেরলাইড করে কিভাবে এর বংশ বৃদ্ধি রোধ করা যায় এবং তাদের আর লার্ভা যেন তৈরী না হয় সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি বার বার সবাইকে আহবান জানিয়েছি এটাকে কেবল সরকারের একার পক্ষে ঠেকানো যাবে না। নিজের বাড়ি-ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং মশার লার্ভা যাতে না হয় সেটার ব্যবস্থা করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজেকে নিজেই সুরক্ষিত করতে হবে। আমরা সহযোগিতা করে যাব।’