সংসদ ভবন, ২৫ জুন, ২০১৮ (বাসস) : সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধানের প্রস্তাব করে আজ সংসদে যৌতুক নিরোধ বিল, ২০১৮ উত্থাপন করা হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে যৌতুকের সংজ্ঞায় বলা হয়, যৌতুক অর্থ বিয়ের এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের কাছে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বশর্ত হিসেবে বিয়ের সময় বা তারপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিয়ে অব্যাহত রাখার শর্তে, বিয়ের পণ বাবদ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, দাবিকৃত বা বিয়ের এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষকে প্রদানের জন্য সম্মত কোন অর্থ সামগ্রী বা অন্য কোন সম্পদ বোঝাবে। তবে মুসলিম ব্যক্তিগত আইন প্রযোজ্য ব্যক্তিগণের ক্ষেত্রে দেন মোহর বা মোহরানা অথবা বিয়ের সময় পক্ষগণের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা শুভাকাক্সক্ষীর দেয়া উপহার সামগ্রী এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।
বিলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিয়ের কোন পক্ষ যৌতুক দাবি করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে অনধিক ৫ বছর, অন্যূন এক বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে বিয়ের কোন পক্ষ কর্তৃক যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে অনধিক ৫ বছর, অন্যূন এক বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলের বিধানের উদ্দেশ্য পূরণে যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ সংক্রান্ত কোন চুক্তি ফলবিহীন বলে গণ্য করার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ দায়ের করলে তিনি অনধিক ৫ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলের বিধানের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য এবং আপসযোগ্য বলে বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে এ ধরনের অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি দন্ডবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে বিদ্যমান যৌতুক নিরোধ আইন রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।