ইপিজেড-ইজেড বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের ওপর জোরারোপ

239

ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর,২০১৯ (বাসস): বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ১শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। এসব ইজেড এবং ইপিজেডের পুরোপুরি অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন এবং অন্যান্য অবকাঠামো ও প্রণোদনা সংক্রান্ত সহযোগিতার পাশাপাশি সহায়ক ব্যাংক ও ঋণ সেবা দেওয়া জরুরী।
সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন ইন ইপিজেড অর ইজেড বাই ব্যাংকস’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী,বিআইবিএমের সাবেক সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি,ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফর,এইসএসবিসি ব্যাংকের গ্লোবাল ট্রেড এবং রিসিভেবল ফাইন্যান্স বিভাগের কান্ট্রি হেড মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা।
এতে মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড.শাহ মো. আহসান হাবীব।
কর্মশালার এস এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরে কাজ করছে সরকার। এজন্য ১শ’ টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হলো দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রফতানি বাড়ানো।
হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকারদের বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ব্যাংকারদের এলসি এবং আনুষাঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।
ড. বরকত-এ-খোদা বলেন,এখন বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং রফতানি ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা। ইপিজেড এবং ইজেড এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।