টেলিযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত

417

ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টেলিযোগাযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপান্তরের লক্ষ্যে পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিটিসিএল, ডাক অধিদপ্তর ও টেলিফোন শিল্প সংস্থার ব্যবস্থাপনায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ^াস, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদ, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল ইসলাম এবং বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুঁই উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ডিজিটাল শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, দেশের ডিজিটাল বিপ্লবের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এবং ডাক ও টেলিযোগাাযোগ বিভাগ ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণসহ ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই বিভাগের অধীন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটালাইজড করা এই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব।
ক্লাসরুমে বই পেন্সিলের পরিবর্তে ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পড়া-লেখা করানো সম্ভব বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডিজিটাল হাজিরা ও ফলাফলসহ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হবে।
তিনি বলেন, প্রাইমারি থেকে পাঠদান কার্যক্রম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ থেকে শুরু করতে চাই।
এতে অন্যরাও অনুপ্রানিত হবে উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে ছাত্রদের কোন চিন্তার কারণ নাই। শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল পাঠদানের জন্য সক্ষমতা তৈরি করার প্রয়োজন হলে সেটাও করা হবে। প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত কনটেন্ট আছে, তবে হাইস্কুলের জন্য যথোপয্ক্তু কনটেন্ট না থাকলেও বিদ্যমান কনটেন্ট দিয়ে যাত্রা আমরা শুরু করতে চাই।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত দেশের প্রায় এক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রচলিত পাঠ্যক্রমের এক বছরের সিলেবাস ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শেষ করতে এক মাসের বেশী সময় লাগে না। কম্পিউটার শুধু বাংলা লেখার যন্ত্র না, প্রোগ্রামিংয়ের যন্ত্র না, কম্পিউটার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে এটা শিক্ষা গ্রহণ করারও যন্ত্র।
তিনি বলেন, ‘কম্পিউটারে শিক্ষা বিস্তারের কাজটা যখন শুরু করি তখন কনটেন্ট ছিল না। আমি দৃঢ়তার সাথে বলছি, পরিবর্তনটা একদম গোড়া থেকে হতে হবে’।
তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ডিজিটাল করতে শিক্ষকদের ডিজিটাল শিক্ষা দানের উপযোগী করে তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে আরো বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করার মত দক্ষ শিক্ষক তৈরি না হলে কেবল যন্ত্রপাতি দিয়ে স্কুল ডিজিটাল করা যাবে না।