বাসস দেশ-৩০ : বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে বিশেষায়িত কমিশন গঠন করা হবে : আইনমন্ত্রী

488

বাসস দেশ-৩০
আনিসুল হক-আলোচনা
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে বিশেষায়িত কমিশন গঠন করা হবে : আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে বিশেষায়িত কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, এই কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভা। কারণ এই কমিশন হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রী বলেন, এটি কোন ইনকোয়ারি কমিশন হবে না। এটি হবে একটি বিশেষায়িত কমিশন।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি।
আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড, জাতীয় চার নেতা হত্যা, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার করেছে যা আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশীলবদের ধরতে সাহস জুগিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এই সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবো এবং কমিশন অবশ্যই গঠন করবো। এই কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে সনাক্ত করবে এবং বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় আইনের শাসনে বিশ্বাস করতেন, নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন করতেন, আইন-আদালতকে শ্রদ্ধা করতেন, বিচারক- আইনজীবীকে শ্রদ্ধা ও স্নেহ করতেন। তাই আমরা তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। তাহলে আপনারা যে কমিশনের স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়িত হবে।
তিনি বলেন, আপনারা যারা সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন, তারা এই কমিশন গঠনের আন্দোলনেও বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যাতে করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডেরর কুশীলবদের ধরা যায়
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশকে আলাদা করা যায় না। আলাদা করা যায় না বলেই তারা ঈর্ষান্বিত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছেন জিয়াউর রহমান। যখন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জ রুজু করা হয়, দেখা যায় জিয়াউর রহমানের নাম পাতায় পাতায়। কিন্তু তার সৌভাগ্য তখন তিনি জীবিত ছিলেন না। না হলে এই মামলার তিন নম্বর আসামি হতো জিয়াউর রহমান।
পরিষদের আহবায়ক বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেনের সভাপতিত্বে এই সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু এমপি, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এমপি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিনও বক্তৃতা করেন। সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার সঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাসস/সবি/এমএমবি/২৩৩৫/-এবিএইচ