বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে : অর্থমন্ত্রী

381

ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনে দু’টি যুদ্ধ করেছেন। একটি রক্তাক্ত যুদ্ধ, যে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দেশ স্বাধীন করেছেন। অন্যটি হলো অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধ, যে যুদ্ধ তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ এবং তার ঋণ পরিশোধ করার জন্য আমাদেরকে এই যুদ্ধে শামিল হতে হবে।’
রোববার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্ষ আ আ মস আরেফিন সিদ্দিক,এনবিআরের সদস্য কালিপদ হালদার ও সুলতান মো. ইকবাল, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক শামসুন্নাহার বেগম, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিশ্বজিৎ বণিক প্রমূখ আলোচনায় অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল একটি নাম নয়। কেবল তিনি জাতির পিতা নন। তিনি একটি বিশ্বাসের নাম,একটি পতাকার নাম। একটি দেশের নাম। দেশবাসীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের মূল্য পরিশোধ করা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তিনি বাঙালির হৃদয়ে যতটা না বেঁচে থাকতেন,এখন তার চেয়ে অনেক বেশি গভীরভাবে বেঁচে আছেন। ঘাতকরা সেদিন বুঝতে পারেনি, হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে বাঙ্গালীর হৃদয় থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্ষ আ আ মস আরেফিন সিদ্দিক বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারা জড়িত ছিল কিংবা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে কাদের অবহেলা ছিল, তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, এদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের প্রতি সামাজিকভাবে ঘৃণা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পেছনে যে যড়যন্ত্র ছিল, সেটি এখনও চলছে। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা এই যড়যন্ত্রেরই অংশ ছিল। দেশবাসীকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এসব যড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের সবচেয়ে বড় গুন ছিল মানুষের প্রতি ভালবাসা। তিনি সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কথা ভাবতেন। তাই আমরা (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা) দেশের মানুষের জন্য যদি কাজ করতে পারি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে পারব।