বাসস দেশ-২৭ : জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আইনী সুরক্ষা দিয়েছিলেন : আমু

271

বাসস দেশ-২৭
আমু-জাতীয় শোক দিবস
জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আইনী সুরক্ষা দিয়েছিলেন : আমু
ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি আইন পাশ করে খুনীদের আইনি সুরক্ষা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার না করার জন্য ইনডেমনিটি আইন পাশ করে জিয়াউর রহমান খুনীদের পুরস্কৃত করেছিলেন। আর পঁচাত্তর পরবর্তী ২১ বছর ধরে বিভিন্ন সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুনর্বাসন করে গেছে।’
আমির হোসেন আমু আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এ হত্যাকান্ড শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ ছিলনা। ক্যু পাল্টা ক্যু’র নামে বিভিন্ন পর্যায়ের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও নেতৃত্ব দানকারীদের উপর আঘাত হানা হয়েছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সংবিধানের ৪ মূলনীতিকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছিল। দেশের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তন করা হয়। এই দেশকে আবার নব্য পাকিস্থান বা পাকিস্তানের সাথে একটি কনফেডারেশন করার পূর্ব পরিকল্পনা নিয়েই ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডর সুত্রপাত করা হয়েছিল।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দেশকে পাকিস্থানি কায়দায় পরিচালনা করা।
১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হত্যাকান্ড একসুত্রে গাঁথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হত্যা ছিল রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড। এই জঘন্য হত্যাকান্ডের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কারণ তখন খালেদা জিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠির শিল্পীবৃন্দ শোক সঙ্গীতও পরিবেশন করেন।
বাসস/সবি/এমএএস/২০১৫/কেজিএ